#Pravati Sangbad Digital Desk:
ডিসেম্বরের প্রথম এই কনকনে উত্তুরে হাওয়ায় অবস্থা হয়ে গেছিল রাজ্যবাসীর। বড়দিন থেকেই তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছিল আবহাওয়াবিদরা। তবে শীতের প্রকোপে কালিংপং কেও ছুঁয়ে ফেলেছিল দক্ষিণবঙ্গের কিছু জেলা। তবে সেই শীত বেশিদিন তার প্রভাব বিস্তার করতে পারল না বলেই মনে হয়। মৌসম ভবন থেকে জানিয়েছে গোটা মধ্য ভারত জুড়ে শীতের প্রকোপ কমতে চলেছে তার কারণ দুটি শক্তিশালী পশ্চিমীঝঞ্জা পশ্চিম ও উত্তর ভারতের দিকে আসছে। এছাড়া সোমবারই কাশ্মীরের ওপর এসে গেছে একটি ঝঞ্জা যার ফলে পাহাড়ি বিভিন্ন জায়গায় তুষারপাত হবে বলে জানানো হয়েছে। এছাড়াও সমতল ভূমিতে বৃষ্টিপাত হতে পারে। এই ঝঞ্ঝায় পরবর্তীকালে আসবে মধ্য ভারতের দিকে। বৃহস্পতিবার আবার দ্বিতীয় ঝঞ্ঝাটি উত্তর পশ্চিম ভারতে প্রবেশ করবে যেখানে এখনও পর্যন্ত প্রথম ঝঞ্ঝায় বিদায় নেয়নি।
উত্তর-পশ্চিম ভারতের আবহাওয়াবিদদের মধ্যে তুষারপাত বৃষ্টিপাত হলেও কনকনে ঠান্ডার প্রকোপ থাকবে না। যার কারণস্বরূপ চলতি সপ্তাহেই বাধা পাবে উত্তরে বাতাস এবং বঙ্গের পারদ উঠবে উপরে। মৌসম ভবন জানিয়েছে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে উত্তর পশ্চিম ভারতে কোন রকম শৈত্যপ্রবাহ হবে না। পূর্ব ভারতের কোন ভাবেই পাওয়া যাবে না উত্তুরে বাতাস। সমতলের বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে বঙ্গে এছাড়াও যদি ঝঞ্ঝা পাহাড়ি এলাকায় প্রবেশ করে তাহলে সেখানে তুষারপাত হতে পারে। স্যাঁতস্যাঁতে প্রকৃতির ঠান্ডা আবহাওয়া অনুভব করবে বঙ্গবাসী না এমনটাই ধারণা করেছেন আবহাওয়াবিদরা। ফলে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কম থাকলেও রাতের তাপমাত্রা বাড়বে।
তবে কাল পর্যন্ত কলকাতায় শীতের দাপট ছিল কম এর ওপর। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস যা প্রায় স্বাভাবিক। এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের বাকি সব জেলাতেও খুব বেশি নামেনি। বর্ধমান বীরভূম পুরুলিয়া মেদিনীপুর সব জায়গাতেই রাতের তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ছিল। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন এই দুই ঝঞ্ঝার প্রভাব যদি কেটে যায় তা হলে জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহের পরেই আবারো উত্তরে হাওয়া উত্তর পশ্চিম ভারত থেকে ভারতে আসবে ফলে ঠান্ডার প্রকোপ। বেশ খানিকটা পারদ পতন হবে বলে ধারণা আবহাওয়াবিদদের। আপাতত আবহাওয়া স্বাভাবিক শীতের মতন থাকলেও বঙ্গবাসী আর কিছুদিন পরেই উচ্চ পারদ এর আভাস পাবেন। তবে শীত এত তাড়াতাড়ি বিদায় নেবে না বঙ্গ থেকে।