#Pravati Sangbad Digital Desk:
দেশে দেখা দিতে পারে ঘোর বিদ্যুৎ সঙ্কট। সম্প্রতি এক রিপোর্টে এমনটাই জানিয়েছে জাপানি উপদেষ্টা সংস্থা নোমুরা। প্রতিবেশী দেশগুলোতে বিদ্যুৎ রপ্তানির অপশন খুঁজে বের করা সত্ত্বেও ভারতের বিদ্যুতের উপর নির্ভরশীল নেপাল। ভারত থেকে রাতের বেলা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। ভারতের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলিতে কয়লার পর্যাপ্ত জোগান না থাকার সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে তাদের ‘ইন্ডিয়া: এ পাওয়ার ক্রাঞ্চ ইন দ্য মেকিং’ রিপোর্টে জানিয়েছে সংস্থাটি। এ মুহুর্তে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলিতে মাত্র ৯দিনের বিদ্যুৎ উৎপাদনের মত কয়লা রয়েছে। তাই কয়লার উৎপাদন না বাড়লে তা দেশের জাতীয় বৃদ্ধির পক্ষে বড় ধাক্কা হয়ে দাঁড়াতে পারে, এমনটাই মনে করছে উপদেষ্টা সংস্থাটি। গত একশো বছরের মধ্যে এত উষ্ণ এপ্রিল আগে দেখা যায়নি। মার্চ থেকেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গরম। আবহবিদরা জানাচ্ছেন, গরম কমার কোনও সম্ভাবনা নেই। ভোগান্তির শেষ নেই। এরই মধ্যে নতুন সমস্যা দেখা দিতে পারে এদেশে। সূত্রের খবর, দিনে আট ঘণ্টারও বেশি সময় বিদ্যুৎ সরবারহ বন্ধ থাকতে পারে। ইতিমধ্যেই পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ এবং অন্ধ্রপ্রদেশের কিছু জায়গায় আট ঘন্টা ধরে বিদ্যুৎ থাকছে না। গরমে এই পরিস্থিতিতে জেরবার সাধারণ মানুষ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কয়লা সঙ্কটই বিদ্যুৎ সমস্যার মূল কারণ। ভারতে যে পরিমাণ কয়লা উৎপাদন হয় তার ৭০% তৈরি হয় কয়লা থেকে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য বিদ্যুতের দাম কমাতে অপারগ সরকার। অন্যদিকে শৈলেন্দ্র দুবে বলেছেন, “তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি কয়লার অভাবে কাজ করতে পারছেনা। সেই কারণেই প্রয়োজন মতো পরিমাণে বিদ্যুৎ তৈরি করা যাচ্ছে না।” গত দু’বছর বেশিরভাগ কলকারখানা বন্ধ থাকায় বিদ্যুতের অভাব বোঝা যায়নি। কিন্তু বর্তমানে কলকারখানাগুলি চালু হলেও,সমানুপাতে কয়লার জোগান বাড়েনি। বিশেষজ্ঞদের মতে, গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি বৈদ্যুতিক সঙ্কট দেখা যাবে এই বছরে।
কোল ইন্ডিয়ার কাছে ৬.১ কোটি টন কয়লা মজুত রয়েছে, যা দেশের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি এক মাসের জন্য যথেষ্ট। কিন্তু, সেন্ট্রাল ইলেক্ট্রিসিটি অথোরিটি দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ১৩ই এপ্রিল দেশের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে দেখা গিয়েছে যে সেখানে যতটা কয়লা মজুত থাকার কথা তার থেকে ৩৫ শতাংশ কমে গিয়েছে যেটা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিশেষজ্ঞদের কাছে।