আর্থিক বাজারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এক সিদ্ধান্ত নিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI)। বুধবার সকালে, আরবিআই গভর্নর সঞ্জয় মলহোত্রা ঘোষণা করেছেন যে, রেপো রেট ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। এর আগে ফেব্রুয়ারিতে রেপো রেট ৬.৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬.২৫ শতাংশ করা হয়েছিল। এবার, এপ্রিল মাসে রেপো রেট আরও কমিয়ে ৬ শতাংশ করা হলো।
উলেখ্য, এই সিদ্ধান্তে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রভাব পড়তে চলেছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মুদ্রানীতি কমিটি তিন দিনের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা ৭ এপ্রিল শুরু হয়েছিল। এটি ছিল নতুন অর্থবর্ষের প্রথম মুদ্রানীতির বৈঠক।এখন, রেপো রেট কমানোর ফলে বিশেষ করে ঋণগ্রহীতারা কিছুটা স্বস্তি পেতে চলেছেন। বিশেষ করে বাড়ি ও গাড়ির ঋণের মাসিক কিস্তি কমতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। রেপো রেট কমানোর ফলে, ব্যাঙ্কগুলি কম সুদের হারে ঋণ দিতে পারবে। এর ফলে হোম লোন এবং কার লোনের ইএমআই আরও খানিকটা কমে যাবে, যা সাধারণ মানুষের জন্য একটি বড় স্বস্তির খবর। রেপো রেট হল সেই সুদের হার, যা ব্যাঙ্কগুলি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে থাকে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যখন রেপো রেট কমায়, তখন ব্যাঙ্কগুলি সেই কম হারেই সাধারণ মানুষকে ঋণ দিতে পারে, যার ফলে ঋণগ্রহীতাদের মাসিক কিস্তির পরিমাণ কমে যায়।
ডোমিনিকান রিপাবলিকে নাইট ক্লাবের ছাদ ভেঙে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, ৭৯ জনের মৃত্যু
অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে, এই সিদ্ধান্তের ফলে সাধারণ মানুষ বিশেষ করে গৃহঋণ ও গাড়িঋণগ্রহীতারা সুবিধা পাবেন। ঋণের সুদের হার কমার কারণে, তাদের ব্যাঙ্কে ঋণ নেওয়ার খরচ কমবে এবং দীর্ঘমেয়াদি ঋণ পরিশোধে সুবিধা হবে।এদিকে, মুদ্রানীতি কমিটির সদস্যরা রেপো রেট কমানোর ফলে বাজারে তরলতা বৃদ্ধি পাবে এবং এর ফলে সাধারণ মানুষের কাছে ঋণের প্রবাহও সহজ হবে। এছাড়া, দেশের অর্থনীতির চাহিদা ও বৃদ্ধি নিয়ে যে কিছু চিন্তা ছিল, তার ওপরও এই সিদ্ধান্ত প্রভাব ফেলতে পারে।এটি ছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্কের চলতি বছরের প্রথম মুদ্রানীতি সিদ্ধান্ত এবং ভবিষ্যতেও যদি অর্থনীতির পরিস্থিতি অনুকূল থাকে, তাহলে আরও ঋণদানের সুযোগ তৈরি হতে পারে।