#pravati sangbad digital desk:
মঙ্গলবার ১লা ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সিতারামন বাজেট পেশ করেছেন, ২০২২-২৩ অর্থ বর্ষের বাজেটে অনেক কিছুই পরিবর্তনের কথা বলেছেন তিনি, কিন্তু তার মধ্যে একটি অন্যতম বিষয় হল দেশের সমস্ত পোস্ট অফিসকে কোর ব্যাঙ্কিং এর আওতায় আনা। অর্থাৎ পোস্ট অফিসের লেনদেনে ডিজিটাল ব্যাবহারের শিলমোহর। দেশের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা পোস্ট অফিসে টাকা বিনিয়োগ করেন, কিন্তু তা এত দিন পর্যন্ত ছিল অফলাইন মোডে। অর্থাৎ লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে। যার ফলে স্বভাবতই অন্যান্য বেসরকারি বা রাষ্ট্রয়াত্ত ব্যাঙ্কের অনলাইন পরিষেবাকে বেছে নিতেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আসার পর থেকেই তিনি জোর দিয়েছেন ডিজিটাল লেনদেনে বা ক্যাশ লেস লেনদেনের ওপর। যা এক প্রযুক্তি নির্ভর ব্যাবস্থাপনা। যদিও দেশের অনেক বয়স্ক মানুষ বা অল্প শিক্ষিত মানুষ এই অনলাইন ব্যাবস্থাপনায় খুব একটা অভ্যস্ত নয়, তাছাড়া অনেক সময় আমাদের নজরে আসে অনলাইন লেনদেনের কালো দিক। কিন্তু আবার দেশের সমস্ত পোস্ট অফিসগুলিতেই চালু হতে চলেছে এই অনলাইন পরিষেবা। যার ফলে গ্রাহকরা পোস্ট অফিস না এসেই নিজের অ্যাকাউন্টে টাকা লেনদেনের সাথে অন্যান্য ধরণের যাবতীয় খুঁটিনাটি তথ্য জানতে পারবেন। দেশে এখনও পর্যন্ত প্রায় দেড় লক্ষ পোস্ট অফিস আছে, এদিন দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সিতারামন ঘোষণা করেন সমস্ত পোস্ট অফিসেই এই পরিষেবা চালু করা হবে খুব দ্রুত। ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত দেশের প্রায় ২৪ হাজার পোস্ট অফিস সিবিএস এর মাধ্যমে কাজ শুরু করেছে।
অর্থনৈতিক গবেষকরা মনে করছেন এতে অনেকটাই ভারতীয় ডাক পরিষেবার হাল ফিরবে, মানুষ আগের থেকে অনেক আগ্রহি হবে পোস্ট অফিসে টাকা জমা রাখতে। অন্যদিকে দেশের সমস্ত বেসরকারি এবং রাষ্ট্রয়াত্ত ব্যাঙ্কগুলি দিন দিন তাদের সূদের সার কমাচ্ছে, তাদের তুলনায় পোস্ট অফিসের সুদের হার অনেকটাই বেশি এবং এই নতুন পরিষেবা চালু হলে মানুষ আরও বেশি করে পোস্ট অফিসে বিনিয়োগ করবেন, বদলাবে পোস্ট অফিসের চেনা অন্ধকার স্যাঁতস্যাঁতে ছবি। পাশাপাশি ভারতীয় ডাক বিভাগের পাশাপাশি অনেক বেসরকারি সংস্থাই কুরিয়ার সার্ভিস চালু করেছে, এবং তা অনেক উন্নত, এই নতুন প্রযুক্তি কার্যকর হলে সেই বদনামও ঘুচবে অনেকে মনে করছেন। ইতিমধ্যেই দেশের সমস্ত পোস্ট অফিসগুলিকে কোর ব্যাঙ্কিং এর আওতায় আনতে টিসিএস কে বরাত দেওয়া হয়েছে, দ্রুত পোস্ট অফিসগুলির আধুনিকীকরণের পথে হাঁটছে সেই সংস্থা। এত দিন পোস্ট অফিসের গ্রাহকদের মধ্যে বেশির ভাগই প্রবীণ নাগরিক, এই আধুনিক ব্যাবস্থা চালু হলে দেশের সমস্ত বয়সের নাগরিকরাই উপকৃত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।