#Pravati Sangbad Digital Desk:
বারবেল কৌশল হল বিভিন্ন ধরনের পোর্টফোলিও কৌশলগুলির মধ্যে একটি যা সম্পদ পোর্টফোলিওর অংশ বিনিয়োগের উপর যুক্তিসঙ্গত রিটার্ন তৈরি করার জন্য ডিজাইন তৈরি করা হয়েছে। বারবেল কৌশলটি পোর্টফোলিওতে সিকিউরিটিজের পরিপক্কতার উপর ফোকাস করার ধারণাকে ঘিরে তৈরি করা হয়েছে। এটি এক সময় পোর্টফোলিওতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সম্পদের দ্রুত টার্নওভারের অনুমতি দেয়। উদাহরণস্বরূপ, স্বল্প-মেয়াদি বিনিয়োগের ব্লকের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত, যাতে সেগুলি পরিপক্কতায় পৌঁছানোর সাথে সাথে সেগুলিকে নতুন স্বল্পমেয়াদী বিনিয়োগে পরিণত করা যেতে পারে। সাধারণত, এটি বিনিয়োগের মূল্য বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করে যা উল্টে দেওয়া হয়, এইভাবে বিনিয়োগ পোর্টফোলিওর সামগ্রিক মূল্য বৃদ্ধি পায়।
বারবেল স্ট্র্যাটেজি হল সমাজের দুর্বল অংশ, যে ব্যবসার উপর আঘাত এনেছে তার নিরাপত্তাকে একত্রিত করে। আর এটি তথ্যের বায়েসিয়ান আপডেটিং এর উপর ভিত্তি করে করা হয়েছে। আর এই মোকাবিলাগুলো রিয়েল টাইম তথ্য ভিত্তিক। আগেই জানালো হয়েছিল জলপ্রপাত পদ্ধতিতে সমস্যার সঠিক করার পরিকল্পনা, যা আগে থেকেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
অনিশ্চিত পরিস্থতির মুখে পড়ে কেন্দ্র বারবেল স্ট্র্যাটেজি গ্রহণ করে। এই স্ট্র্যাটেজি সমাজের প্রান্তিক মানুষ ও ব্যবসাকে ধাক্কা থেকে বাঁচাতে ভিন্ন ভিন্ন সুরক্ষা-জালের একটা সংমিশ্রণ।
আজ সাংসদে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করছেন কেন্দ্রিয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। সোমবার, ৩১শে জানুয়ারি আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্ট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী। সমীক্ষা রিপোর্টে সরকার করোনা অতিমারীর ধাক্কা মোকাবিলায় গৃহীত বারবেল স্ট্র্যাটেজি সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিয়েছে। গত বছরের আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্টেও বারবেল স্ট্র্যাটেজির উল্লেখ করা হয়েছিল।
২০২২ সালের অর্থনৈতিক সমীক্ষা, জলপ্রপাত পদ্ধতি বিশ্বজুড়ে নীতি প্রণয়নের জন্য প্রচলিত পদ্ধতি করোনার দ্বারা সৃষ্ট অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবিলা করার জন্য বারবেল স্ট্র্যাটেজি গ্রহণ করেছে। গত দুই বছর ধরে করোনা মহামারির দাপট দেখাচ্ছে , যা ক্রমশ বিশ্বজুড়ে নীতি-নির্ধারণের জন্য অন্ত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠেছে। করোনা ভাইরাস দিন দিন তার তরঙ্গের পরিবর্তন করছে। যার জন্য বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিয়েছে। এর ফলে ভ্রমণ বিধিনিষেধ, সরবরাহ ও অন্যান্য জায়গায় বিধিনিষেধ করা হয়েছে। আর্থিক অবস্থায় গত বছর চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে কেটেছিল সেই তথ্যই উঠে এসেছে ভারত সরকারের বারবেল স্ট্র্যাটেজিতে।
বারবেল স্ট্র্যাটেজির অধীনে যে যে পদক্ষেপগুলি নেওয়া হয়েছে সেগুলি হল-
জরুরী সহায়তা, অর্থনৈতিক নীতিকে বিকশিত করা, তাছাড়া মহামারির কারণে যে বিষয়গুলির ধাক্কা খেয়েছে-সেগুলিকে তুলে ধরা।
যখন খুবই ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছিল করোনা, তখন বিনামূল্যে খাদ্য কর্মসূচিও চালু করা হয়েছিল। ছোট ব্যবসার জন্য টাকাও সাহায্য করা হয়েছিল জনতাকে। ইতিমধ্যে, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অর্থনীতিতে আর্থিক সহায়তা প্রদান করতে শুরু করেছে। এই পদক্ষেপগুলির মধ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গিয়েছিল। সেই সময় প্রয়োজনে নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছিল।