লোভনীয় প্যাকেজিং দেখে আমরা প্রতিদিন যে মেকআপ পণ্যের ব্যবহার করি, তার আড়ালে লুকিয়ে থাকতে পারে ভয়ানক বিপদ। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, বহু প্রসাধনী সামগ্রীতে ব্যবহৃত কিছু রাসায়নিক উপাদান ধীরে ধীরে আমাদের শরীরে ক্যানসার সৃষ্টির পথ তৈরি করছে। লিপস্টিক, ফাউন্ডেশন, আইশ্যাডো, নেলপলিশ, এমনকি মুখ ধোয়ার ক্লেনজারেও থাকে পারাবেন, লিড, ফর্মালডিহাইড, ফেনক্সিথানল, টলুইন, এবং প্যারাফিনের মতো মারাত্মক রাসায়নিক। এই উপাদানগুলো স্কিনের ছিদ্র দিয়ে রক্তে মিশে যেতে পারে। দীর্ঘমেয়াদে এগুলোর প্রভাব হতে পারে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট, অঙ্গপ্রত্যঙ্গে বিষক্রিয়া, এমনকি স্তন ক্যানসারের মতো প্রাণঘাতী রোগের জন্ম। বিশেষ করে যে সমস্ত প্রসাধনীতে “ফ্লোরোসিনেটেড কম্পাউন্ড” বা “PFAS” ব্যবহৃত হয়, সেগুলো মানবদেহে টক্সিক হিসাবে কাজ করে। এগুলো শুধু ক্যানসার নয়, লিভার ও কিডনি সমস্যা, প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস ও হাড় দুর্বল করার জন্যও দায়ী। আমরা অনেকেই পণ্যের গায়ে থাকা উপাদান তালিকার দিকে নজর দিই না। নামী ব্র্যান্ড মানেই যে নিরাপদ, তা নয়। শিশু, কিশোরী থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক নারীরা প্রতিদিন নিয়ম করে ব্যবহার করেন এইসব পণ্য, যেগুলো নিঃশব্দে শরীরের কোষে কোষে ছড়িয়ে দিচ্ছে বিষ।
পঞ্চায়েত ৪ – সিরিজপ্রেমিদের অপেক্ষার শেষ, নতুন মোড়ে আবিষ্কৃত হচ্ছে ফুলেরা!\
এই অবস্থায় আমাদের সচেতন হওয়া জরুরি। অর্গানিক, রাসায়নিকমুক্ত, বা ডার্মাটোলজিকালি টেস্টেড পণ্য বেছে নেওয়া প্রয়োজন। প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি প্রসাধনী এখন বাজারে সহজলভ্য হচ্ছে। সেইসঙ্গে প্রতিদিনের ব্যবহারে পরিমিতি ও রুটিন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাও দরকার। রূপচর্চা অবশ্যই প্রয়োজন, তবে তা যেন না হয় জীবনের ঝুঁকিতে ফেলার চর্চা। কসমেটিক পণ্য কেনার আগে একটু সচেতন সিদ্ধান্তই বাঁচাতে পারে আপনাকে ভবিষ্যতের এক অন্ধকার পরিণতি থেকে।