সকালের শুরুটা যদি ঠিকমতো না হয়, তবে সারা দিনটাই যেন তালগোল পাকিয়ে যায়। আমাদের অনেকের অভ্যাস সকাল শুরু করা এক কাপ চা আর কয়েকটা বিস্কুট দিয়ে। সহজ, ঝটপট এবং অভ্যাসের বশেই এই খাবারকে বেছে নিই। কিন্তু এই ধরনের প্রক্রিয়াজাত খাবারে পুষ্টির ঘাটতি থাকার কারনে শরীরে দ্রুত গ্লুকোজের উত্থান হলেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না? ফলাফল, কিছুক্ষণের মধ্যেই ক্লান্তি, মুড সুইং, কিংবা ক্ষুধার অনুভব। এইভাবে শরীরে বাসা হয় অনেক অসুখের, যা আপনাকে দুর্বল করে তোলে। তাই সকালের খাবারে কিছু পুষ্টিকর খাদ্য যোগ করুন।
এই সিজিনে বেশি বেশি আনারস খান; এতে লুকিয়ে আছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা
একটি বা দুটি সিদ্ধ ডিম—যাতে রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন ডি এবং বি১২। সঙ্গে কিছু বাদাম বা আখরোট দিলে পাওয়া যাবে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও ফাইবার, যা দীর্ঘক্ষণ আপনাকে পেটভরা রাখবে। ওটসও একটি অসাধারণ ব্রেকফাস্ট অপশন। দুধ, ওটস, মৌসুমি ফল এবং সামান্য চিয়া বা ফ্ল্যাক্স সিডস মিশিয়ে তৈরি করা যেতে পারে একটি পুষ্টিকর ও সুস্বাদু ব্রেফাস্ট অপশন। এই মিশ্রণে আছে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আপনার মেটাবলিজমকে সক্রিয় রাখবে এবং মন ভালো রাখবে। যাদের ভেজ খাওয়ার অভ্যাস, তারা দই বা গ্রিক যোগার্ট দিয়ে বানাতে পারেন স্মুদি বোল। এর সঙ্গে মধু, নানা রকম ফল ও সীডস মিশিয়ে একটি হালকা কিন্তু পুষ্টিকর খাবার তৈরি করা যায়। আবার ভারতীয় ঘরানার খাবার যেমন—ছাতু, উপমা, ইডলি কিংবা সজিনা পাতার চিলা—সবই হতে পারে স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্ট অপশন। এছাড়াও, সকালের পানীয় হিসেবেও ভাবনা বদলানো দরকার। শুধু চায়ের উপর নির্ভর না করে লেবু জল, মেথি ভেজানো জল , কেসর জল বা ঘরে তৈরি স্মুদি বেছে নিলে শরীর অনেক বেশি হাইড্রেটেড ও ডিটক্স থাকবে।
সারাদিনের প্রাণশক্তি ও মনোযোগের জন্য সকালের খাবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই শুধুমাত্র অভ্যাস বা স্বাদের জন্য চা-বিস্কুটের মতো অপুষ্টিকর খাবারে আটকে না থেকে ব্রেকফাস্টকে করে তুলতে হবে আরও বেশি পুষ্টিকর । সঠিক খাবারই হতে পারে আপনার সারা দিনের শক্তির উৎস।