রাজ্য জুড়ে ফের দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার পূর্বাভাস। দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গ—দুই অঞ্চলেই হাওয়া অফিস জারি করেছে সতর্কতা। এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে চলমান তীব্র গরমের মধ্যেই ঝড়বৃষ্টি ও বজ্রপাতের পূর্বাভাসে খানিকটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন রাজ্যবাসী।
আজ, বৃহস্পতিবার কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আগামী পাঁচদিনে তাপমাত্রার খুব একটা পরিবর্তন হবে না। তবে দমকা হাওয়া, বজ্রপাত এবং বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির জেরে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া মনোরম থাকবে।আজ থেকে রবিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভূমে জারি হয়েছে কমলা সতর্কতা, অর্থাৎ মাঝারি থেকে তীব্র দুর্যোগের আশঙ্কা। কলকাতা সহ বাকি দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে হলুদ সতর্কতা জারি রয়েছে।
আগামী দিনের পূর্বাভাস:
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল): দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, এবং ঝাড়গ্রামে থাকবে কমলা সতর্কতা। অন্যান্য জেলাগুলিতে বজায় থাকবে হলুদ সতর্কতা। ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০-৬০ কিমি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। শনিবার (১৯ এপ্রিল): দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়ায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা বৃষ্টির জন্য হলুদ সতর্কতা।রবিবার (২০ এপ্রিল): বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ার জন্য হাওয়া অফিস থেকে হলুদ সতর্কতা জারি হয়েছে।
শুল্ক-সংকটের আবহে ভারতে আসছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স
উলেখ্য, উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও আগামী সাতদিন ধরে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার রাজ্যের সমস্ত উত্তরের জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শুক্রবার ও শনিবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও কালিম্পং জেলায় থাকবে হলুদ সতর্কতা। তবে দক্ষিণবঙ্গের তুলনায় উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির তীব্রতা কিছুটা বেশি থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।হাওয়া অফিসের তরফ থেকে নাগরিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে যাঁরা বাইরে যাতায়াত করেন, তাঁদের বজ্রবিদ্যুৎ এবং দমকা হাওয়ার সময় খোলা জায়গায় না থাকার অনুরোধ করা হয়েছে। কৃষকদের ক্ষেত্রেও সর্তকতা অবলম্বনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কারণ ঝড় ও শিলাবৃষ্টির কারণে ফসলের ক্ষতি হতে পারে।