এই গরম, এই বৃষ্টি! কখনো গরম, কখনো বৃষ্টি, আবহাওয়া যেন এক চরম খামখেয়ালীপনা প্রদর্শন করছে। সাধারণ মানুষের পক্ষে সত্যিই কঠিন হয়ে পড়েছে এই পরিবর্তনশীল আবহাওয়া বোঝা। বিশেষত কলকাতায়, যেখানে মার্চ মাসে তাপমাত্রা প্রায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁইছুঁই, সেখানে দিল্লির হোলির দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস, একদিকে গরম তো অন্যদিকে বৃষ্টি—এই অদ্ভুত আবহাওয়ার কারণে দিন দিন মানুষের জীবনে বাড়ছে সমস্যা।
উলেখ্য, কলকাতা ও আশেপাশের অঞ্চলে মার্চ মাসের তাপমাত্রা খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এদিকে, দিল্লিতে এবার হোলির দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দিল্লি ও আশেপাশের অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন। সেক্ষেত্রে আগামী কিছু দিন দিল্লির তাপমাত্রা কিছুটা কমবে। তবে, তাপমাত্রা বাড়া এবং বজ্রপাতের আশঙ্কা গুজরাট, পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গে তা স্পষ্টভাবে অনুভূত হবে। এবার চলুন পশ্চিমবঙ্গের দিকে নজর দেওয়া যাক। চৈত্র মাসে তাপপ্রবাহের আগমনে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলা বিশেষভাবে প্রভাবিত হবে। বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান—এই সব জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দোলের সময় এই অঞ্চলের তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছাতে পারে। যাদের দোলের ছুটিতে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে, বিশেষত পাহাড়ি অঞ্চলে, তাদের জন্য সতর্কবার্তা রয়েছে। জম্মু-কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ ও লাদাখের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে ১৩ থেকে ১৬ মার্চ পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেখানেও তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে এবং বজ্রপাতের আশঙ্কা রয়েছে।
বড় শিল্পে সেরা তিন রাজ্যে এগিয়ে বাংলা! বললেন মুখ্যমন্ত্রী
প্রসঙ্গত, পূর্ববাংলাদেশ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টি হয়েছে, যার প্রভাবে ১৩ থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ঝড়বৃষ্টি হতে পারে। এই অঞ্চলে বজ্রপাত এবং ঝোড়ো হাওয়া, বিশেষত সিকিম, পশ্চিমবঙ্গ, অসম ও মেঘালয়ে বেশি দেখা যাবে। পশ্চিমবঙ্গের কিছু অঞ্চলে ৩০-৪০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে, ফলে সতর্ক থাকতে হবে। আবহাওয়ার এই অস্থিরতা একদিকে যেমন শীত ও গরমের মাঝে চরম অসঙ্গতি সৃষ্টি করছে, তেমনি সাধারণ মানুষকে প্রতিনিয়ত প্রস্তুত থাকতে হচ্ছে। এই ধরনের আবহাওয়া বিপদের কারণ হয়ে উঠতে পারে, বিশেষত যখন বজ্রপাত ও ঝড়বৃষ্টির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ একযোগে সংঘটিত হয়। তাই এই অস্থির আবহাওয়ার মাঝে নিজেদের নিরাপদ রাখতে জনগণকে সতর্ক থাকতে হবে।