অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতি মন্দিরের বিখ্যাত লাড্ডু নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। মন্দিরের লাড্ডু তৈরির জন্য যে ঘি ব্যবহার করা হতো, তা জোগান দেওয়ার টেন্ডারে ঘুষ এবং কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT)-এর তদন্তে এই অনিয়মের পালে হাওয়া লাগে এবং তিনটি ডেয়ারি সংস্থার প্রধানকে গ্রেফতার করা হয়।
কলকাতার বইমেলা থেকে চার লক্ষ্য টাকার বই কিনলেন চাকদহের শিক্ষক
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গঠিত এই তদন্তকারী দল সিবিআই, অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশ এবং ভারতের খাদ্য নিরাপত্তা ও মান বিষয়ক কর্তৃপক্ষ (FSSAI)-এর আধিকারিকদের নিয়ে গঠিত। অভিযুক্তদের মধ্যে উত্তরাখণ্ডের ভোলেবাবা ডেয়ারির বিপিন জৈন, পোমিল জৈন, তামিলনাড়ুর বৈষ্ণবী ডেয়ারির অপূর্ব বিনয় কান্ত এবং তেলঙ্গানার এআর ডেয়ারির রাজু রাজাশেখরন রয়েছেন। ঘি জোগানের টেন্ডার প্রক্রিয়া নিয়ে তদন্তকারী দলের দাবি, বৈষ্ণবী ডেয়ারির প্রতিনিধিরা এআর ডেয়ারির নামে ভুয়ো নথি জমা দিয়ে টেন্ডার জিততেন। এছাড়া, তারা ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে দাবি করতেন যে, উত্তরাখণ্ডের ভোলেবাবা ডেয়ারি থেকে ঘি কিনছেন, অথচ সেই ডেয়ারির ঘি সরবরাহের ক্ষমতা ছিল না। এই বিতর্কের সূত্রপাত গুজরাতের একটি ল্যাবরেটরির রিপোর্ট থেকে, যেখানে দাবি করা হয়, তিরুপতি মন্দিরের লাড্ডুর ঘি-তে মাছ, গোমাংস এবং শূকরের চর্বির নমুনা পাওয়া গিয়েছে। এতে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। তিরুপতি মন্দিরের রান্নাঘরে প্রতি দিন প্রায় তিন লক্ষ লাড্ডু তৈরি হয়, যার জন্য প্রায় ১৫০০ কেজি ঘি ব্যবহৃত হয়।
প্রসঙ্গত, এই অভিযোগের পর, সুপ্রিম কোর্ট একটি বিশেষ তদন্ত দল গঠন করে এবং বর্তমানে তদন্তকারী দল অভিযুক্ত ডেয়ারি প্রধানদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এই ঘটনা আরও একবার প্রমাণিত করে যে, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে সম্পর্কিত খাদ্য সরবরাহে স্বচ্ছতা এবং সততার গুরুত্ব কতটা। তিরুপতি মন্দিরের লাড্ডু নিয়ে এটি একটি নতুন বিতর্ক, যা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে অবশেষে সুরাহা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।