এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ও সুখবরপূর্ণ প্রতিবেদন যা ঋণগ্রহীতাদের জন্য আর্থিক স্বস্তি নিয়ে এসেছে। আরবিআই (রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া) গভর্নর সঞ্জয় মলহোত্রা মনেটারি পলিসি কমিটির (MPC) বৈঠকের পর রেপো রেট কমানোর ঘোষণা করেছেন, যা ঋণগ্রহীতাদের জন্য বড় ধরনের সুফল বয়ে আনবে। চলুন, বিস্তারিতভাবে দেখে নেওয়া যাক এই ঘোষণার প্রভাব ও তা থেকে কি পরিবর্তন আসতে পারে।
রহস্যময় ব্যক্তির জন্য রতন টাটার ৫০০ কোটি টাকার উইল
প্রসঙ্গত, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে আরবিআই গভর্নর সঞ্জয় মলহোত্রা রেপো রেট ২৫ বেসিস পয়েন্ট বা ০.২৫ শতাংশ কমানোর ঘোষণা দেন। পূর্বে রেপো রেট ছিল ৬.৫ শতাংশ, যা বর্তমানে কমিয়ে ৬.২৫ শতাংশ করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত ঋণগ্রহীতাদের জন্য আর্থিক চাপ হালকা করার লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে, বিশেষ করে ইএমআই (ইকুইটেড মাসলি ইন্সটলমেন্ট) পরিশোধের ক্ষেত্রে। এটা সঞ্জয় মলহোত্রার আরবিআই গভর্নর হিসেবে প্রথম মনেটারি পলিসি কমিটির বৈঠক ছিল। তার অধীনে নেওয়া এই সিদ্ধান্ত ঋণগ্রহীতাদের স্বস্তি প্রদান করবে, কারণ রেপো রেট কমানোর ফলে ব্যাঙ্কগুলোর ঋণের সুদের হারও কমবে। এতে সাধারণ মানুষকে ঋণ পরিশোধে সহজতা হবে এবং তাদের মাসিক কিস্তি কম হবে, যা অর্থনৈতিকভাবে তাদের সহায়ক হতে পারে।
গত ৫ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ পর্যন্ত রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মনেটারি পলিসি কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ধাপে ধাপে রেপো রেট বাড়ানো হয়েছিল। কিন্তু ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ১০টি বৈঠকে রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখা হয়েছিল। দীর্ঘ সময় পর আজ রেপো রেট কমানোর এই ঘোষণাটি এসেছে, যা অর্থনীতি ও ঋণগ্রহীতাদের জন্য একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত। অর্থনীতির বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে গভর্নর সঞ্জয় মলহোত্রা জানিয়েছেন, "ভারতের মুদ্রাস্ফীতি লক্ষ্য স্থির করে এগোনোর বিষয়টি দেশের জন্য ভালো হয়েছে। নতুন অর্থনৈতিক ফ্রেমওয়ার্ক কার্যকর করার পর থেকে গড় মুদ্রাস্ফীতির হার কম রয়েছে। তবে, বিশ্ব অর্থনীতিতে চ্যালেঞ্জ এখনো রয়েছে এবং বিশ্ব অর্থনীতি ঐতিহাসিক গড় থেকে ধীর গতিতে এগোচ্ছে।" সর্বোপরি, রেপো রেট কমানোর সিদ্ধান্ত একটি বড় অর্থনৈতিক পদক্ষেপ এবং তা ঋণগ্রহীতাদের সুবিধা দেবে। এতে কিছু সময়ের মধ্যে ঋণের সুদের হার কমতে পারে এবং মানুষের আর্থিক চাপ কিছুটা কমবে। তবে, বিশ্ব অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ বজায় থাকায় ভবিষ্যতে আরও মনিটরি পলিসি সংশোধনের সম্ভাবনা রয়েছে। এটি একটি অভূতপূর্ব পদক্ষেপ যেটি ভারতের অর্থনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য ইতিবাচক এবং সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলতে পারে।