#PRAVATI SANGBAD DIGITAL DESK :
শীতের মরশুম মানেই ত্বকের শুষ্কতা, রুক্ষতা। ত্বককে সতেজ রাখতে আমরা সকলেই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু সকল ময়েশ্চারাইজার স্কিনের জন্য উপকারী তা কিন্তু নয়, কারণ ময়েশ্চারাইজারে থাকে কেমিক্যালস, যা ত্বকের বিভিন্ন রকম সমস্যা সৃষ্টি করে। তাই ঘরোয়া উপায়ে যদি আমরা নিজ ত্বককে মইশ্চরাইজার রাখতে পারি তাহলে তা খুবই লাভদায়ক। এবং সেই ঘরোয়া টোটকা বাজারে কেনা কোল্ড ক্রিমের থেকে অনেক ভালো।
কাঁচা হলুদ এবং সরষের তেল গৃহস্থের ঘরে এই দুই জিনিস থাকেই। তবে যদি কাঁচা হলুদ বাড়িতে না থাকে তাহলে বাজারে যে কোন দোকান থেকে কিনে আনতে পারেন কাঁচা হলুদ। কাঁচা হলুদ থেঁতো করে তার সঙ্গে সরষের তেল মিশিয়ে গায়ে মাখলে শরীরে উজ্জ্বলতা বাড়ে। এছাড়াও সরষের তেল মাখার জন্য শরীর তৈলাক্ত হয়ে যায়।
শীতের রুক্ষতা প্রভাব ফেলে আমাদের সকলেরই স্কিনে। স্কিন টাইপ যেমনই হোক না কেন, শীতকালে আমাদের স্কিনের জন্যে যত্নের কমতি থাকে না। এসময় স্কিনের যত্নে স্ক্রাবিং হল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্ক্রাবিং শীতকালে স্কিনের রুক্ষ চামড়া দূর করে, স্কিন ফাটা রোধ করে, স্কিনকে ময়েশ্চারাইজ এবং সফট করে তোলে। এছাড়াও ফেইস, বডি ও হাত পায়ের জন্য আলাদা আলাদা স্ক্রাব করার প্রয়োজন। তবে সেটা করার জন্য আপনাকে পার্লারে গিয়ে টাকা খসানোর কোনও প্রয়োজন নেই। আপনি ঘরে বসেই খুব স্বল্প টাকায়, অল্প সময়ে তৈরী করে নিতে পারেন স্ক্রাব।
প্রথমে ফেস স্ক্রাবের কথায় আসি। আপনাকে প্রথমেই মুখ পরিষ্কার করে নিতে হবে ফেইসওয়াসের সাহায্যে। এবার চালের গুঁড়োর সাথে মধু এবং অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। পাতলা স্ক্রাব বানিয়ে স্কিনে সার্কুলার মোশনে ম্যাসাজ করতে থাকুন। তবে মনে রাখবেন, সবসময় ঘড়ির কাটার উলটো দিকে ম্যাসাজ করবেন। ৩-৪ মিনিট ম্যাসাজ করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। স্ক্রাবিং করার পর স্কিনে অবশ্যই ভালো কোনো ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিবেন।
হাত এবং পায়ের স্ক্রাবের জন্য তৈরী করুন দারচিনি, মধু, লেবুর রস, অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। তারপর সেই মিশ্রণ হাত এবং পায়ে ভালো করে লাগিয়ে নিন।
এবার আসি বডি স্ক্রাবের কথায়। চিনি, আমন্ড বাদাম, গুঁড়ো দুধ, টমেটোর রস একসাথে মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরী করেনিন। তারপর তা মেখে কিছুক্ষন অপেক্ষা করে ধুঁয়ে নিন।
এবার আমাদের শরীরের সবচেয়ে কোমল অংশ ঠোঁটের স্ক্রাবের কথায় আসি। চিনি, অলিভ অয়েল, ভ্যানিলা ফ্লেভার একসাথে মিশিয়ে তৈরী করেনিন লিপি স্ক্রাব। প্রতিদিন রাতে সেটা ব্যবহার করুন। দেখবেন শীতে আপনার ঠোঁট ফাটার প্রবণতা আর থাকবে না।
তবে মনে রাখা প্রয়োজন এই কেয়ারের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে জল পান করা অত্যাবশ্যক। জল আমাদের শরীরে আদ্রতা বজায় রাখে। শীতকালে এমনিতেই আমাদের শরীর শুষ্ক হয়ে যায় এই সময় পর্যাপ্ত থেকে বেশি পরিমাণে জল না খেলে চোখমুখ শুকনো দেখায়। তাতে বাইরে থেকে আপনি জোট পরিচর্যাই করুন না কেন আপনার শরীরে শুষ্কতা থেকেই যাবে।