#Pravati Sangbad Digital Desk:
ভারতে কয়েক বছর ধরেই বাড়ছে মাদকের চোরা কারবার। অনেক সেলিব্রিটিকেও এই অভিযোগে অভিজুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু চোরাকারবার প্রায় বেড়েই চলেছে দিনের পর দিন। কয়েকদিন আগেই গুজরাটের সমুদ্র উপকূল থেকে এক আবগানীস্থানী নৌকো থেকে উদ্ধার হলো চোরা মাদক। জা দেখে প্রায় অবাক হয়ে গেছিল গোয়েন্দা দপ্তর। যার মুল্য ছিল প্রায় ১৯ হাজার কোটি টাকার মাদক দ্রব্য ছিল ওই নৌকোয়। মুদ্রা বন্দর থেকে সেই সমস্ত দ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছিল। জা চিন্তায় ফেলেছিল গয়েন্দা আধীকারিকদের।
প্রায় প্রতি মাসেই ধরা পড়ছে একটার পর একটা মাদক কান্ড। প্রতিটা কান্ড ধরা পরার পরেই আঙ্গুল উথেছে নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের ওপর। বার বার জনগনের তপে পড়তে হয়েছে সরকারি আইনী আধিকারীদের। আবার তার পুনরাবৃত্তি হল দিল্লি বিমান বন্দরে।
দিল্লি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে এক মহিলাকে প্রথমে সন্দেহের ওপর ভিত্তি করে আতক করা হয়। আর তাঁর পরেই উদ্ধার হয় প্রায় ১৪ কোটির হেরোইন। জানা গেছে উগান্ডা থেকে ফিরছিলেন ওই মহিলা। মঙ্গলবার শুল্ক করমকর্তারা যখন তার ব্যাগেজ খুটিয়ে দেখছিলেন সেই সময় ব্যাগের মধ্যে অফ হোয়াইট রঙের কিছু পাউডার দেখেই সন্দেহ হয় তাদের। পরে ওই পাউডারটিকে ল্যাবে পরীক্ষা করে ওই পদার্থটিকে হেরোইন বলে নিশ্চিত করা হয়।
ওই মহিলার ব্যাগ থেকে প্রায় ২.০২ কেজি নিষিদ্ধ মাদক পাওয়া যায়। পুরো মাদকটাই লোকানো অবস্থায় পাওয়া যায়। হেরোইন বাজেয়াপ্ত করার পরেই গ্রেপ্তার করা হয় ওই মহিলাকে। শুল্ক বিভাগ আরও জানিয়াছেন,”নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেশ অ্যাক্টের অধীনে ওই মহিলার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।“
কদিন আগেও এই দিল্লি ও নয়ডা থেকে উদ্ধার হয়েছিল ৩৭ কেজি মাদক দ্রব্য। সেই সময়ও আবগানিস্থান ও উজবেকিস্থান থেকে ধরা পরেছিল ৩ জন নাগরিক।
অনুমান করাই যায় ঠিক কতটা পরিমানে আসছে এই নিষিদ্ধ ড্রাগস এই দেশে। জা ক্রমাগতই চিন্তিত করা তুলছে মানুষদের। সবাই এখনো সরকারি আইনী আধিকারীদের দিকেই তাকিয়ে জনগণ।