#Pravati Sangbad Digital Desk:
২০১৯ এ চিনেই প্রথম করোনার ভয়াবহতা দেখা দেয়। এই চীন থেকেই নভেল করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল সারা বিশ্বে। তারপরের কাহিনী কারোর অজানা নয়।লক ডাউন, কোভিড টেস্ট, কোয়ারেন্টিন, ওষুধ, হাসপাতাল, ওয়ার্ক ফ্রম হোম, ভ্যাকসিন এভাবেই কেটেছে। মানুষের দুই বা আড়াইটা বছর। কেউ কেউ বা হারিয়েছে নিজেদের কাছের মানুষজনকে। আবার কেউ বা হতাশায় বা মানসিক অবসাদে ভুগেছে। মোটামুটি ভাবে পুরো জীবন ধারাকেই পাল্টে দিয়েছে করোনা। চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসের কবল থেকে মুক্তি পায়নি কোনো দেশ। তবে এই ভাইরাসের আক্রমণ চীনে প্রথম হলেও প্রভাব বেশি পড়েছে ভারতে ,আমেরিকা সহ একাধিক দেশে। এই দেশগুলির তুলনায় চীনে মৃত্যুর সংখ্যাও ছিল অনেক কম। তবে এখন অনেকটা স্বাভাবিক হয়েছে পরিস্থিতি। আক্রান্তের ও মৃতের সংখ্যাও কমেছে ভারত ও প্রাশ্চাত্যের দেশগুলিতে। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে সবকিছু। তবে এর মধ্যেই আবার চীনে নতুন করে সংক্রমণ এর খবর পাওয়া গেলো। শোনা যাচ্ছে,চিনে করোনা সংক্রমণ এর গ্রাফ এখন ঊর্ধ্বমুখী। রাস্তায় রাস্তায় চলছে টেস্ট।চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে চীনে দৈনিক সংক্রমণ এখন সর্বোচ্চ।বুধবার ৩১৪৫৪ জন সংক্রমিত হয়েছেন। এটিই চীনের সর্বোচ্চ দৈনিক সংক্রমিত এর সংখ্যা।এদের মধ্যে ৩৯২৭ জনের করোনার উপসর্গ দেখা যায় এবং বাকিরা উপসর্গহীন।
এতদিন চীনে মৃতের ও আক্রান্তের সংখ্যা ছিল অনেকটাই কম।এর কারণ হিসেবে চীন পর্যটন এ বিধিনিষেধ,সীমান্তে কড়াকড়ি,গণহারে পরীক্ষা, মাস্কের ব্যাবহার প্রভৃতি বিষয় গুলি কে তুলে ধরেছিল। এতদিন পর্যন্ত বেজিং শূন্য কভিড নিয়ম মেনেই চলছিল। কেউ নিয়ম অমান্য করলে তার জন্যও কড়া শাস্তির ব্যাবস্থা রেখেছিল চীনের প্রশাসন। তবে সম্প্রতি চীনের শাসকদল, কমিউনিস্ট পার্টি জানিয়েছিল এবার করোনা এর বিধিনিষেধ আস্তে আস্তে লঘু করা হবে।তবে তার আগেই আবার সংক্রমণ উর্দ্ধমুখী।তাই নিয়ম আর লঘু করা হবেনা।কাজের অফিস গুলি আবার বন্ধ হয়ে শুরু হতে পারে ওয়ার্ক ফ্রম হোম।শপিং মল,পার্ক ,সিনেমা হল বা যেকোনো গেদারিং বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। শাং হাই এর মিটিং ও স্থগিত করা হয়েছে। গণ পরীক্ষার ব্যাবস্থা করা হচ্ছে।প্রয়োজনে আবার লক ডাউন হতে পারে বলেও জানিয়েছে প্রশাসন।