#Pravati Sangbad Digital Desk:
করোনার মতো ভয়াবহ অতিমারির পর একের পর এক রোগের কথা প্রায়ই উঠে আসছে। শীতকাল পড়ার সাথে সাথে শুরু হয়েছে ডেঙ্গুর প্রকোপও। এই রোগটি মশা থেকে আসে। তবে মশা থেকে ডেঙ্গুই নয়, হতে পারে অনেক ভয়াবহ রোগও। আকারে ছোটো হলেও এর প্রভাব বেশ জোরালো। মৃত্যুও ঘটতে পারে মশার কামড়ে। এমনকি এই মশার কামড়ে মানুষ কোমায় পর্যন্ত যেতে পারে। এমনি এক ঘটনার সাক্ষী ২৭ বছরের এক যুবক। যে মশাটি সেবাস্টিয়ান নামের বছর ২৭ এর এক যুবককে কামড়েছিল, তা এশিয়ান টাইগার মশা। সাধারণত এই মশা জার্মানিতে পাওয়া না গেলেও, বর্তমানে দ্রুত পরিমাণে বৃদ্ধি পাচ্ছে এই মশার সংখ্যা। এর প্রজাতির মশার একটা কামড় খেয়েই এক মাসের জন্য কোমায় চলে গিয়েছিলেন তিনি। প্রায় ৩০টি অস্ত্রোপচারের পর অবশেষে তাঁর জ্ঞান ফেরে। তবে এখনও সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠেননি সেবাস্টিয়ান। জার্মানির রোডারমার্কের বাসিন্দা সেবাস্টিয়ান রটসকে। ২০২১ সালে তাঁকে এশিয়ান টাইগার মশা কামড়ায়। প্রথমে কিছু বুঝতে না পারলেও, কিছুদিনের মধ্যেই সেই কামড়ের ফল একে একে পেতে থাকেন। প্রথমে সাধারণ ফ্লুয়ের মতো দেখা দেয়। এরপর লিভার, কিডনি, হার্টের নানা সমস্যা ঘিরে ধরে তাঁকে। তাঁর শারীরিক অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে পড়তে থাকে যে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। এরপর ধীরে ধীরে লিভার, কিডনি, হার্ট ও ফুসফুস কাজ করা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে একেবারে কোমায় চলে যান তিনি।
এই মশা থেকেই এনসেফালাইটিস, জিকা সংক্রমণ, চিকুনগুনিয়া, ডেঙ্গির মতো সংক্রমণ হতে পারে। ওই মশার কামড়েই সেবাস্টিয়ানের রক্তে বিষক্রিয়া হয়। এরপরই সে কোমায় চলে যায়। শরীরের একাধিক জায়গায় পচন ধরতে শুরু করে, স্কিন ট্রান্সপ্ল্যান্টও করাতে হয় তাঁকে।সেবাস্টিয়ান বলেন, "আমি বিদেশে যাইনি। ফলে এশিয়ান টাইগার মশাটি আমাকে জার্মানিতেই কামড়েছিল। এরপরই দ্রুত অবস্থার অবনতি হতে থাকে। সম্পূর্ণ শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন তিনি, হেঁটে বাথরুম অবধি যাওয়াও কার্যত অসম্ভব হয়ে ওঠে। জ্বরের কারণে খাওয়া-দাওয়াও বন্ধ হয়ে যায়। ভেবেছিলাম আমার জীবন হয়তো শেষ হয়ে যাবে"। তিনি আরও জানান, "একদিন হঠাৎ দেখি, আমার প্যান্ট সম্পূর্ণ ভিজে গিয়েছে। বাম দিকের উরুতে বড় ঘা দেখা দেয়"। ৩০টি অস্ত্রোপচারের পর তাঁর পায়ের দুটি আঙুল কেটে বাদ দিতে হয়। শরীরে ঘায়ের জায়গায় স্কিন ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে হয়।