#Pravati Sangbad Digital Desk:
মধ্যবিত্তের জন্য ফের খারাপ খবর। আরও দাম বাড়তে পারে দুধ ও অন্যান্য খাদ্যের। বিগত কয়েকমাস ধরে ক্রমাগত নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে চলেছে। এমনিতেই জ্বালানির দামের জ্বালায় অস্থির সাধারণ মানুষ। শুধু জ্বালানি নয় এর পাশাপাশি ডিম, সবজি অন্যান্য খাদ্য দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি হাওয়ায় সাধারণ মানুষ নাজেহাল হয়ে পড়েছে। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন এর আগে জিএসটি বৃদ্ধির একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তারপর আবারো কয়েকটি জিনিসের মূল্য বৃদ্ধির কথা শোনা যাচ্ছে। ১৮ জুলাই থেকে বেশ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়তে চলেছে এবং বেশ কিছু পরিষেবায় খরচ বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে প্রয়োজনীয় খাবারের দাম আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে কোম্পানিগুলি ৫% থেকে ৮% পর্যন্ত দুগ্ধজাত পণ্যের দাম বাড়াতে পারে।
বর্তমানে, ব্র্যান্ডেড এবং প্যাকেটজাত খাবারের উপর ৫ শতাংশ জিএসটি আরোপ করা হয়। প্যাকেট ছাড়া এবং লেবেলবিহীন পণ্যগুলি করমুক্ত রাখা হয়েছে। তবে জানা গিয়েছে দুগ্ধজাত খাদ্যদ্রব্য যেমন পনির, লস্যি, বাটার মিল্ক, প্যাকেটজাত দই এবং আটা, অন্যান্য শস্য, মধু, পাপড়, মাছ-মাংস, মুড়ি এবং গুড়ের মতো প্রি-প্যাকেজড লেবেল সহ কৃষিপণ্যের দাম জুলাই থেকে বাড়বে। ১৮ জুলাই থেকে টেট্রা প্যাক দই, লস্যি এবং বাটার মিল্কের দামের ওপর এক্সট্রা ৫% জিএসটি ধার্য করা হবে। চেকবুক ইস্যু করার জন্য ব্যাঙ্ক আগে যে পরিষেবা কর নিত সেখানে এখন ১৮% জিএসটি ধার্য হবে। হাসপাতালে ৫ হাজার টাকার বেশি (নন-আইসিইউ) রুম ভাড়া দেওয়া হলে সেখানে ৫% জিএসটি ধার্য করা হচ্ছে। এছাড়াও হোটেল, এলইডি লাইট, কাগজ কাটার কাচি, পেনসিলে জিএসটি ১২ শতাংশ থেকে ১৮ শতাংশ করা হয়েছে।