#Pravati Sangbad Digtal Desk:
বর্তমান সময়ে আমরা অধিকাংশ মানুষ ডিজিটাল লেনদেন ব্যবহার করতে শুরু করেছি। ডিজিটাল লেনদেন ব্যবহার শুরু করার পাশাপাশি ব্যবহার হয় এটিএম কার্ড, যা দিয়ে এটিএম কাউন্টার থেকে নগদ টাকা তোলা হয়। তবে এসবের পাশাপাশি সমানতালে বজায় রয়েছে চেক মারফত টাকা তোলা। বড় অংকের টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে অধিকাংশ মানুষ চেকের ব্যবহার করে থাকেন। আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে ডিজিটাল হোক অথবা এটিএম বা চেক মারফত লেনদেন, সব ক্ষেত্রেই এখন প্রতারণার সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। এই সকল প্রতারণার সংখ্যা কমানোর জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন ব্যাংক নানান সময় নানান ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। সেই রকমই এবার ১ আগস্ট থেকে চেক মারফত লেনদেনের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক হচ্ছে একটি বিষয়।
ইতিমধ্যেই এই নিয়ম দেশের বেশ কিছু ব্যাংক চালু করেছে,তবে এখনো পর্যন্ত যারা এই নিয়ম চালু করেনি তারাও ১ আগস্ট থেকে এই নিয়ম চালু করতে চলেছে। চেক মারফত লেনদেনের ক্ষেত্রে যে নিয়ম বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে সেটি হল পজেটিভ পে। চেক মারফত ৫ লক্ষ টাকা অথবা তার বেশি লেনদেনের ক্ষেত্রে এই পজিটিভ পে বাধ্যতামূলক হতে চলেছে প্রতিটি ব্যাংকে বলেই জানা যাচ্ছে।
এই "পজিটিভ পে" পদ্ধতিতে সই করা চেকের নম্বর, চেকে লেখা তারিখ, প্রাপকের নাম, অ্যাকাউন্ট নম্বর, টাকার অঙ্কের মতো গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলি পুনরায় যাচাই করে নেওয়া হবে। সেই কারণে এই তথ্যগুলি সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কেও জমা দিতে হবে। এছাড়াও প্রাপককে চেক দেওয়ার আগে চেকের সামনে ও পিছনের ছবি তুলে সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। প্রাপক যখন টাকা ক্যাশ করার জন্য নিজের ব্যাঙ্কে চেক জমা দেবেন, সেই সময় ‘পজিটিভ পে’-র মাধ্যমে যাবতীয় তথ্য যাচাই করে নেওয়ার পরই প্রাপকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে। সব তথ্য যদি মিলে যায়, তবেই সফলভাবে লেনদেন সম্পন্ন হবে, বিন্দুমাত্র অমিল থাকলে চেক ফিরিয়ে দেওয়া হবে।