#Pravati Sangbad Digital Desk:
প্রয়াত বর্ষীয়ান চিত্রপরিচালক তরুণ মজুমদার। সোমবার সকাল ১১.১৭ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। দীর্ঘদিন ধরেই বয়সজনিত কারণে ভুগছিলেন তিনি। ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে। ১৪ জুন থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। হাসপাতালে তাঁর সেপ্টিসেমিয়া ধরা পড়ে। তাঁর চেতনার মাত্রা ক্রমশ কমছিল। শরীরে ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যায়। আচ্ছন্নভাবেই ছিলেন তিনি। কিছুদিন চিকিত্সার পরে সুস্থ হয়ে উঠছিলেন তিনি। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরেই তাঁর ফের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। রবিবার রাত থেকেই তাঁকে পুরোপুরি ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। তরুণ মুজমদারের চিকিত্সার জন্য অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকদের নিয়ে একটি মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি করা হয়। চেস্ট মেডিসিনের চিকিত্সক ডা: সোমনাথ কুণ্ডু, মেডিসিনের চিকিত্সক ডা: সৌমিত্র ঘোষ, নেফ্রোলজিস্ট ডা: অর্পিতা রায়চৌধুরী, কার্ডিওলজিস্ট ডা: সরোজ মণ্ডল, নিউরো মেডিসিনের চিকিত্সক ডা: বিমান রায়ের একটি দল পরিচালককে সর্বক্ষণ পর্যবেক্ষণে রাখেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যান তরুণ মজুমদারকে দেখতে। কথা বলেন চিকিত্সকদের সঙ্গে। তরুণ মজুমদারকে দেখতে হাসপাতালে যান বাম নেতা বিমান বসু ও কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়রা। শনিবার থেকেই তরুণ মজুমদারের শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটতে থাকে।
রবিরার মধ্যরাত থেকে অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। সম্পূর্ণ আচ্ছন্ন অবস্থায় রাখা হয়েছিল তাঁকে। ডায়ালিসিসের প্রয়োজন থাকলেও ডায়ালিসিস দেওয়ার অবস্থায় তিনি ছিলেন না। ১০০ শতাংশ ভেন্টিলেটরি সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। কিডনির সমস্যা নিয়েই তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন পরে ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ে তাঁর।সোমবার সকালে তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে শোক প্রকাশ করেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতুপর্না সেনগুপ্ত, শতাব্দী রায়, সৌমিলি বিশ্বাস। শোকবার্তা জ্ঞাপন করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। বাংলা সিনেমার অত্যন্ত জনপ্রিয় পরিচালক ছিলেন তরুণ মজুমদার। একাধিক জনপ্রিয় সিনেমা দর্শকদের উপহার দিয়েছেন তিনি। যাত্রিক গোষ্ঠীর সঙ্গে তাঁর প্রথম সিনেমা চাওয়া পাওয়া। ছবিতে অভিনয় করেছিলেন উত্তম কুমার ও সুচিত্রা সেন। এরপর একের পর এক হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। তরুণ মজুমদারের সিনেমার ঝুলিতে রয়েছে দাদার কীর্তি , ফুলেস্বরী , পথভোলা ,চাঁদের বাড়ি প্রমুখ। ১৯৬২ সালে 'কাঁচের স্বর্গ' সিনেমার জন্য তিনি জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন। তাঁর সংগ্রহে রয়েছে পাঁচটি জাতীয় পুরস্কার, সাতটি বিএফজেএ সম্মান, পাঁচটি জাতীয় পুরস্কার ও একটি আনন্দলোক পুরস্কার। ১৯৯০ সালে তাঁকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করে ভারত সরকার।