#Pravati Sangbad Digital Desk:
যুদ্ধবিধ্বস্ত ও চলমান যেসব স্থানে ,পূর্ব ইউক্রেনের এমন বেশ কিছু জায়গা পরিদর্শন করলেন রাষ্ট্রপতি জেলেনস্কি। ইউক্রেনকে মাঝারি পাল্লার রকেট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিল যুক্তরাজ্য। ঝাপোরিজঝিয়ায় এখনো তীব্র লড়াই চলছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই প্রথম সেই অঞ্চল পরিদর্শন করলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি। ওই সমস্ত অঞ্চল ঘুরে, রবিবার রাতের দৈনিক ভিডিওবার্তায় তিনি প্রচুর পরিমাণে মানবিক সাহায্যের আহ্বান জানিয়েছেন।কারণ পূর্ব শিল্পাঞ্চলে প্রচণ্ড লড়াই চলছে যা মস্কো তার বাহিনীকে সেদিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য মনোনিবেশ করেছে। জেলেনস্কি লিসিচানস্কে কমান্ড পোস্ট পরিদর্শন করেছিলেন, যা সেভেরোডোনেটস্ক থেকে সিভারস্কি ডোনেটস নদীর ওপারে অবস্থিত, যেখানে ইউক্রেনীয় সৈন্যরা রাশিয়ান বাহিনীর বিরুদ্ধে পিছু হটছিল যারা আগে সুকৌশলে শহরটি দখলের দ্বারপ্রান্তে উপস্থিত হয়েছিল। লিসিচানস্ক এবং সোলেদার বলে দুইটি জায়গায় এদিন বেশ কিছু সময় কাটান জেলেনস্কি। তার পরনে ছিল বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট। পরিদর্শনের সময় তার সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় সেনা প্রধান আলেখজান্ডার স্তারুখ। জাতীয় পুলিশ বাহিনীর স্থানীয় প্রধানও ছিলেন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে।
জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ওই অঞ্চলের প্রশাসন, সেনা এবং স্থানীয় মানুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করছেন। তিনি তাদের সঙ্গে হাত মেলাতে পেরে গর্বিত বোধ করছেন। স্তারুখ জানিয়েছেন, ওই অঞ্চলের প্রায় ৬০ শতাংশ এলাকাই এখন রাশিয়ার দখলে এবং যুদ্ধের ফলে স্থানীয় গ্রামগুলি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৭৭টি গ্রামে বিদ্যুত্ অবর্তমান এবং ওই অঞ্চল থেকে বহু মানুষ পালিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। গৃহহীন সেই সমস্ত মানুষের জন্য কিছু আশ্রয়শিবির তৈরি করা হয়েছে। সেখানে বিপুল পরিমাণ মানবিক সহায়তা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন জেলেনস্কি। উল্লেখ্য,দোনবাস অঞ্চলের অর্ধেক এলাকাই লুহানস্কের অন্তর্গত এবং রাশিয়া এখন এই জায়গাটিকেই তাদের যুদ্ধপ্রয়াসের প্রথান কেন্দ্রে পরিণত করেছে। যদি দোনবাস রাশিয়ার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে চলে যায় তাহলে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন হয়তো ইউক্রেন যুদ্ধে বিজয় ঘোষণা করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।