#Pravati Sangbad Digital Desk:
মঞ্চে গাওয়া শেষ গান, 'হম রহে ইয়া না রহে কাল' আর তারপর যখন কেকে গাইলেন 'ছোটিসি হ্যায় জিন্দেগি', তখন কে জানত জীবন এতটাই অনিশ্চিত সেই গানের কথাই কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সত্যি হল। তিনি আর রইলেন না।৩১শে মে নজরুল মঞ্চে গুরুদাস কলেজের অনুষ্ঠানে পারফর্ম করছিলেন সঙ্গীতশিল্পী কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ ওরফে কে কে। নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠান শেষ করেই চলে যান ধর্মতলার বিলাসবহুল হোটেলে। সেখানে পৌঁছে শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। সঙ্গে সঙ্গে আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। ১৯৯৯ সালে ‘পাল’ অ্যালবাম দিয়ে যাত্রা শুরু করেন তিনি। প্রথম অ্যালবামের ‘হাম রাহে ইয়া না রাহে কাল’ গানটি তুমুল জনপ্রিয়তা পায়।বয়স হয়েছিল ৫৪ বছর। সম্পূর্ণভাবে সুস্থ থাকার সত্ত্বেও এত কম বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু মেনে নিতে পারছে না কেউই। এই আকস্মিকতাকে ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠছে। অভিযোগ অনুষ্ঠান চলাকালীন বাতানুকুল যন্ত্র ঠিক করে কাজ করছিল না। অনুষ্ঠানের সময় স্পট লাইট নিভিয়ে দেওয়ারও অনুরোধ করেন শিল্পী। তার ওপর বেসামাল ভিড়। গান গাইতে গাইতে ঘামতেও দেখা গিয়েছে গায়ককে। তবু কেউ বুঝতে অবধি পারেনি এর পর মুহূর্তে কী ঘটতে চলেছে। ইতিমধ্যেই নজরুল মঞ্চে কেকে-এর শোয়ের বেশ কিছু ভিডিয়ো ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, শো শেষ করে শিল্পী মঞ্চ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন। তাঁকে দৃশ্যত বিধ্বস্ত লাগছিল। আয়োজকরা তাঁকে ঘিরে ঘরে মঞ্চ থেকে বার করে নিয়ে যান। পিছনে ছিলেন অনুরাগীরা।
কেকের মৃত্যুতে মমতা বলেন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'উনি নতুন প্রজন্মের আইকন ছিলেন। তাঁকে আমরা শেষ শ্রদ্ধা জানাতে চাই। ওঁর স্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে।তাড়াতাড়ি কলকাতায় ফেরার চেষ্টা করছি, যদিও শেষবার দেখতে পাই।' কেকে-র প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টুইট করে নিজের শোকবার্তা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, "সঙ্গীতশিল্পী কেকে-র অকালপ্রয়াণে আমি গভীর ভাবে শোকাহত। তাঁর গান প্রতিটি বয়সের মানুষকে কার্যত একটা সুতোয় বেঁধে রেখেছিল।" কেকে-র মৃত্যুর পর নিউমার্কেট থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে । সেই মতো তদন্ত শুরু করেছে কলকাতা পুলিশ। শারীরিক অসুস্থতার কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে কিনা, এর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে কিনা সবটাই খতিয়ে দেখা হবে। হোটেলের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ভাল করে খতিয়ে দেখবে পুলিশ।কেকে-র দেহ ময়নাতদন্তের জন্য এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দেহ মুম্বই নিয়ে যেতে এসেছেন কেকে-র স্ত্রী জ্যোতি এবং ছেলে নকুল।