#Pravati Sangbad Digital Desk:
সর্বপ্রথম চীন থেকে ছড়িয়ে ছিল করোনার প্রাদুর্ভাব। ২০২০ পর থেকে কার্যত চাইনিজ জিনিসের আদান প্রদান বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। গোটা বিশ্বজুড়েই হানা দিয়েছে করোনা যার ফলে স্মার্টফোনের বাজার ভুক্তভোগী। চাইনিজ চিপ নির্মাতাদের কাছ থেকে জানা যাচ্ছে স্মার্ট ফোন ল্যাপটপ ডেক্সটপ সবকিছুরই চাহিদা হ্রাস পেয়েছে করোনাকালীন পরিস্থিতিতে। এক চিপ নির্মাতার মতে গোটা বিশ্বে লকডাউন এর জেরে অর্থনৈতিক অবস্থা অবনতি হয়েছে যার ফলে এই বছরে প্রায় কুড়ি কোটি স্মার্টফোনের কোনটি হতে পারে। চীনে আবারো করোনার বাড়বাড়ন্ত এবং লকডাউন এর জন্য প্রায় ২০০ মিলিয়ন স্মার্টফোন তৈরি হবে বলে জানিয়েছে সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেশন। সাংহাই প্রদেশের অবস্থার দিন দিন অবনতি হচ্ছে। টাঙ্গাইলে লকডাউন এর জন্য ত্রৈমাসিকে ৫ শতাংশ উপাদান কমে যাবার সম্ভাবনা করেছেন বিজ্ঞানীরা। এই বিষয়ে সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেশনের প্রধান ঝাও হাই জুনের কতব্য অনুসারে সাংহাই এর অবস্থা খুবই কঠিন ফলে সাংহাই এর বাইরে থাকা কারখানাগুলোতে কাজ চালিয়ে যাওয়া উৎপাদন প্রক্রিয়া স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে তবে এতটা বড় ক্ষতিপূরণ পুরোপুরি মিটিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। চীনে স্মার্টফোন বিক্রেতাদের এই বছরে ২০০ মিলিয়ন ইউনিট শিপমেন্ট কমতে পারে যার জন্য অনেক অর্ডার বাতিল হয়ে গেছে। করোনাকালীন পরিস্থিতিতে অনেক দেশ চাইনিজ জিনিস ব্যবহারের বিরোধিতা করেছে ফলে চীনের সরঞ্জাম রপ্তানিতে আঘাত এসেছে। এছাড়াও মার্কিন মুলুকের নিষেধাজ্ঞা আরোপ একটি চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে চাইনিজ দ্রব্য কে। চীন এর মধ্যে সবথেকে বেশি সংক্রমণ হচ্ছে সাংহাইতে। চীনে এ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ২২২ যার মধ্যে সাংহাইতে ১৪৪।
আমাদের দেশে চাইনিজ ফোনের ব্যবহার খুবই বেশি কারণ এটি স্বল্পমূল্যে অধিক ফিচার দিতে সক্ষম। এবার সেই চাইনিজ ফোন উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটলে তা ভারতীয় বাজারের ওপর প্রভাব ফেলবে অনেক খানি।