#Pravati Sangbad Digital Desk:
ভারতীয় অর্থনীতির জন্য বড়সড় ধাক্কা! এই প্রথমবার এত দাম কমল ভারতীয় মুদ্রার। সোমবারে ভারতীয় মুদ্রার দাম ঠেকেছে ৭৭ টাকা ৪২ পয়সা। স্বাধীনতার পর যা কিনা সর্বনিম্ন। এই ঘটনার পর বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ভারতীয় বাজার থেকে লগ্নি তুলে নিচ্ছেন। ইতিমধ্যেই রেকর্ড ১৭.৭ বিলিয়ন ডলার তুলে নেওয়া হয়েছে এই বছরে।
ডলার সাপেক্ষে দাম কমা নিয়ে কংগ্রেসকে কটাক্ষ করত বিজেপি। কংগ্রেস আমলে এই ব্যাপারে কম প্রশ্ন সহ্য করতে হয়নি সরকারকে। দেশের তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং নিজে অর্থনীতিবিদ হওয়া সত্ত্বেও কেন টাকার দাম কমছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতেন বিজেপি নেতারা। পিছিয়ে থাকতেন না নরেন্দ্র মোদীও। তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা সহ অন্যান্য দেশের মুদ্রার দাম না কমলে ভারতীয় রুপির দাম কমে কেন? তাছাড়া সেই সময়ে রসিকতাও কম হত না। কিন্তু বিজেপির সময়ে ডলার সাপেক্ষে সর্বনিম্ন রূপী। এখন মনমোহন সিংও প্রধানমন্ত্রীর আসনে নেই, কংগ্রেসও নেই।
সোমবার বাজার খুলতেই ৮০০ পয়েন্ট পড়েছে সেনসেক্স। নিফটি ছিল ১৬,২০০ পয়েন্টের কাছাকাছি। বিশেষজ্ঞদের মতে, অবমূল্যায়নের জন্য কোভিড মহামারি একটা বড় ফ্যাক্টর। তাছাড়া কোভিড মহামারি শেষে যুদ্ধ পরিস্থিতি, আন্তর্জাতিক তথা দেশীয় বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়া সহ একাধিক কারনে দাম বেড়েছে ভারতীয় মুদ্রার। সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রেপো রেট বাড়িয়েও ধস আটকাতে পারেনি। অর্থনীতি বিশেষজ্ঞদের একাংশের আশঙ্কা, এখনই ধস থামবে না। মুদ্রার দাম নেমে যেতে পারে ৮০ টাকা অবধি। দেশের মুদ্রাস্ফীতি সামাল দিতে দীর্ঘসময় পর রেপো রেট বাড়িয়েছে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া। যার প্রভাব পড়েছে শেয়ার বাজারে। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে দেশীয় বিনিয়োগকারীরাও নতুন করে বিনিয়োগ করতে চাইছে না। সবমিলিয়ে ভারতীয় মুদ্রার উপর বিরাট প্রভাব পড়েছে।
এদিকে এদিন সবচেয়ে লাভবান শেয়ার ছিল পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশন। গত সেশনের তুলনায় ৫.৩৫ টাকা বা ২.২৪ শতাংশ বেড়েছে। এর ফলে পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশনের শেয়ারের দর দাঁড়ায় ২৪৩.৭৫ টাকা। এদিকে আজকের সব থেকে বেশি লোকসান হওয়া সংস্থা হল রিলায়েন্স। এদিন গত সেশনের তুলনায় ৮৯.৬৫ টাকা বা ৩.৪২ শতাংশ কমেছে রিলায়েন্সের শেয়ারের দর। এর জেরে রিলায়েন্সের শেয়ার দর গিয়ে ঠেকে ২৫৩১.০০ টাকায়। এই নিয়ে মোদী সরকারকে কটাক্ষ করে কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিং সূর্জেওয়ালা টুইটারে লেখেন, "ভারতের ইতিহাসে আজ টাকা আইসিইউ-তে আছে। টাকা গাইড বোর্ডের সময়সীমা অনেকদিন অতিক্রম করেছে। গত ৭৫ বছরে NPA সর্বোচ্চ। বেকারত্বের হার সর্বাধিক। মূল্যবৃদ্ধি আমজনতার কোমর ভেঙে দিয়েছে, পেট্রোল ও ডিজেলের দাম সর্বাধিক। মোদী থাকলে সব সম্ভব।"