সুগার কমার দাবাই কি তেতো ? সত্যিই কি ডায়াবেটিসে কাজ দেয় তেতো!!

banner

journalist Name : Sagarika Chakraborty

#Pravati Sangbad Digital Desk:

অনেকেই মানেন তেতো খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকে ডায়াবেটিস এটা কি আদৌ সত্যি! খাবার শুরুতেই থাকে পাত ভর্তি নিমপাতা কিংবা উচ্ছে। ছোটদের ধমকি দিয়ে তেতোর উপকারিতা শুনিয়ে জোর করে খাওয়ানো হয় প্রথম পাতে। অনেকের আবার বড় বয়স পর্যন্ত অনিচ্ছা তেতো খাওয়ায়। তবে হ্যাঁ ব্যতিক্রমী কিছু মানুষ আছে যাদের তেতো অত্যন্ত প্রিয়। গোটা বিশ্বে যে সমস্ত রোগ হয় তার মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ডায়াবেটিস। শুধুমাত্র ঔষধ থেকে নিয়ন্ত্রিত হয় না এই রোগ,এর জন্য কঠোরভাবে প্রয়োজন খাদ্য নিয়ন্ত্রণ। আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে শরীরের বাত পিত্ত এবং কফির সমতা বাড়ায়  যে কোন রোগ। শরীরে কফির সমতা হারিয়ে ফেললে ডায়াবেটিস হয়। কফের সমতা বজায় রাখে তেতো খাবার। তেতো খাবারের মধ্যে আছে কালমেঘ,উচ্ছে,করোলা,নিমপাতা,চিরতা,মেথি প্রভৃতি। ঠিক এই কারণেই বলা হয় তেতো খেলে ডায়াবেটিস রোগীর সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে। যে রোগীর ব্লাড সুগার খুব বেশি আছে সে যদি প্রতিদিন 40 মি.লি. করে যেকোনো তেতো জিনিসের কাঁচা রস করে খায় তবে তার উপকারিতা অনেক। তবে সেটি এক গ্লাস জল এর সঙ্গে। যাদের রক্তে সুগারের মাত্রা কুড়ি মি.লি. তারাও এক গ্লাস জলে মিশিয়ে খেতে পারে। সাধারণ সুস্থ মানুষও এই তেতো খাওয়ার অভ্যাস করতে পারে কিন্তু এই খাদ্য তিন মাস টানা খাওয়ার পর 15 দিন পর্যন্ত খাওয়া বন্ধ রাখতে হবে। নিমপাতা যদি সকাল বেলা খালি পেটে সাত-আটটা চিবিয়ে খাওয়া যায় এবং তারপর একটু জল খেয়ে নেওয়া যায় তাহলেও অনেক উপকার দেয় এছাড়াও মেথি ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করে। রাতে যদি 10 গ্রাম মেথির দানা আত্মার জলে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে সেই জল পান করা যায় এবং মেথিগুলিকে চিবিয়ে খাওয়া যায় তাহলে এর উপকারিতা অনেক।
যারা মডেল মেডিসিন চিকিৎসায় বিশ্বাসী সেইসব চিকিৎসকদেরও মতানুসারে তেতো খেলে ব্লাড সুগার কমানো যায়। ইতি সুগার নিয়ন্ত্রণ হলেও তা কিন্তু সাময়িক। এছাড়াও এই তেতো খেলে ত্বকের সমস্যা হয় না, হজম প্রক্রিয়া ভালো হয় কৃমি থাকে না। এছাড়াও তেতো অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল রূপে কাজ করে।

Tags:

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য
Related News