#Pravati Sangbad Digital Desk:
গত কয়েকদিনের তাপমাত্রার পারদে কার্যত নাজেহাল হয়ে পড়েছিল রাজ্যবাসী। ছাত্র-ছাত্রিরা ক্লাস করতে গিয়ে যাতে অসুবিধায় না পড়ে তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গরমের ছুটি ঘোষণা করেছেন। তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী ২রা মেয়ে অর্থাৎ সোমবার থেকে গরমের ছুটি পড়ে গেল স্কুলগুলিতে। তবে ছুটি ঘোষণার পরের থেকেই কালবৈশাখীর জেরে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। আবহাওয়া সূত্রের খবর, আগামী কয়েকদিনে বৃষ্টির সম্ভবনা আছে। এই পরিস্থিতিতে টানা ৪৫ দিনের গরমের ছুটি বাতিল করে অন্তত কয়েক দিনের জন্য স্কুল খুলে দিতে মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে আর্জি জানালেন স্কুল শিক্ষকদের একাংশ।
এই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসু জানিয়েছেন, তীব্র গরমের ছুটি দেওয়ার ঘোষণা এই প্রথম নয়। এর আগেও এরকম হয়েছে। আবার দেখা গেছে গরমের ছুটি ঘোষণার পরই কালবৈশাখী এসেছে। এবারও একই ঘটনা ঘটেছে। এমিনেতেই করোনার কারণে অনেকদিন স্কুল বন্ধ থাকায় পড়ুয়াদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। ফলে লম্বা গরমের ছুটির সিন্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা উচিত। এবার অনেক দেরি করে শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়েছে এই অবস্থায় দেড় মাস ছুটি থাকলে তারা আবার পিছিয়ে যাবে।
স্কুল ছুটির মেয়াদ নিয়ে এবার কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হল। বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির তরফে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতের কাছে পিটিশন দেওয়া হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে করোনার কারণে গত ২বছর স্কুল বন্ধ ছিল। তার জেরে এমনিতেই পড়াশুনার অনেক ক্ষতি হয়েছে। আর এবার পশ্চিমবঙ্গ সরকার গরমের ছুটি বাড়িয়ে ৪৫ দিন করেছে, তাতে পড়ুয়াদের পড়াশুনার আরো ক্ষতি হবে বলেই তাঁদের আশঙ্কা। এই মামলার শুনানি আগামী ৫ই মে।
বলা হয়েছে, হাওয়া অফিসের রিপোর্টে বলা হয়েছে, তাপমাত্রা একটু বাড়তেই পারেই। কিন্তু তার জন্য এতদিন স্কুল বন্ধ রাখার অর্থ কী?
এই প্রশ্ন তুলেই হাইকোর্টকে মামলা দায়ের করা হয়েছে।