#Pravati Sangbad Digital Desk:
পুরভোটের ফল ঘোষণার পরদিন থেকেই রাস্তার পাশে নির্বিচারে পূর্ত ও সেচ দফতরের একের পর এক জমি দখল করে দোকান তৈরির অভিযোগ উঠল রাজপুর-সোনারপুরে। শুধু তা-ই নয়, পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা সব কিছু জেনেও কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন স্বয়ং পুরসভার চেয়ারম্যান ও স্থানীয় বিধায়ক।তাঁদের দাবি, এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগের ভিত্তিতে সব কিছু সরেজমিনে খতিয়ে দেখে পুলিশকে জানানো সত্ত্বেও কোনও প্রতিকার হয়নি। অভিযোগ, রাজপুর-সোনারপুরের চার নম্বর ওয়ার্ডের গঙ্গাজোয়ারা এলাকায় পূর্ত দফতরের ফাঁকা জমি দখল করে নেওয়া হচ্ছে একের পর এক দরমার ঘর তৈরি করে। এবং সেই সরকারি জমি 'বিক্রি'ও করে দেওয়া হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকায়।দখলদারির এই কাজে মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিভাস মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। এমনকি, কাউন্সিলরের বাড়ি সংলগ্ন সরকারি জমিও দখল হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ।
জমি দখল করানোর পিছনে বহু টাকার লেনদেন চলছে বলেও দাবি।স্থানীয় বাসিন্দারা জানালেন, কাউন্সিলরের ঘনিষ্ঠেরা যে জমি দখল করছেন, সেই ছবি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল। এর পরে সমাজমাধ্যমে সেই ছবিও ছড়িয়ে পড়ে, যাতে দেখা যাচ্ছে, পুরসভার ওয়ার্ড কুলিদের ওই জমি দখলের কাজে লাগানো হচ্ছে।দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসকের দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযোগের বিষয়ে মহাকুমাশাসকের দফতরের রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।এলাকার বিধায়ক ফেরদৌসী বেগম পর্যন্ত পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, পুলিশ সুপারকে রিপোর্ট সহ চিঠি পাঠানো হলেও পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তবে, এ প্রসঙ্গে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দখলদার উচ্ছেদ করার জন্য বিরাট বাহিনীর প্রয়োজন। তাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। কতৃর্পক্ষের অনুমোদন পেলেই শুরু হবে উচ্ছেদ অভিযান।
যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ অভিযুক্ত কাউন্সিলর বিভাস মুখোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, তিনি এসব ব্যাপারে কিছুই জানেন না। তিনি বলেন, ‘জমি দখল হয়ে যাচ্ছে শুনেছি। যারা দখল করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাব।’