Flash News
  1. ভারতের উপর থেকে ট্রাম্প-ট্যারিফ প্রত্যাহারের পথে আমেরিকা
Monday, September 22, 2025

নিরালায় সময় কাটাতে বেড়িয়ে আসুন জুনপুট

banner

journalist Name : Aankhi Banerjee

#pravati sangbad Digital desk:

বেড়ানোর জন্য পশ্চিমবঙ্গের কথা ভাবলে যে জায়গাগুলির নাম সবার প্রথমে মনে ভেসে ওঠে সেগুলি নিঃসন্দেহে কাছাকাছিই হয়। সমুদ্রতীরে ছুটি কাটাতে হলে এ রাজ্যের কথা সাধারণত মনে আসে না অনেকেরই। সমুদ্রের ধারে বেড়ানো মানেই গোয়া, কন্যাকুমারী বা নিদেনপক্ষে পুরী। কিন্তু এই রাজ্যেও রয়েছে মায়াবী সমুদ্রতীর। পশ্চিমবঙ্গের সীমানার একটা বড় অংশ জুড়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে বঙ্গোপসাগরের উত্তাল ঢেউ। শুধু দিঘা নয়, গত কয়েক বছরে পর্যটকদের চোখে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে আরও বেশ কয়েকটি সমুদ্রতীর। তবে এই সব এলাকায় এখনও পর্যন্ত পর্যটকদের ভিড় খুব একটা থাকে না। তাই ভিড় এড়িয়ে ছুটি কাটাতে চাইলে এই জায়গাগুলো আদর্শ।পাহাড়-জঙ্গল-নদী যেমন প্রচুর মানুষকে আকর্ষণ করে, তেমনি সমুদ্রপ্রেমীদের সংখ্যাও কম নয়। আবার কেউ কেউ প্রকৃতির সব ধরনের রূপই ভালোবাসে। যাই হোক, আজ থাকছে আরেকটি মনোরম সমুদ্র সৈকতের খোঁজ।জুনপুট সৈকতে ভাটার সময়ে জল সমুদ্রের জল অনেকটা সরে যায়। প্রসারিত হয়ে যায় দীর্ঘ বেলাভূমি।

তখন অনেকটা হেঁটে পৌঁছতে হবে সমুদ্রে। জোয়ারের সময়ে জল এসে কাদা করে দিয়ে যায়। আরে কাদায় মাখা বেলাভূমিতে দাপিয়ে বেড়ায় লাল কাঁকড়ার দল। খালি পায় হাঁটলে বেশ মজা পাওয়া যাবে। সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের দৃশ্যও অপরূপ। অমাবস্যা আর পূর্ণিমার ভরা কোটালে সমুদ্রের জল অনেকটাই এগিয়ে আসে। শান্ত সমুদ্রের রূপ নয়নাভিরাম। পূর্ণিমার রাতে যেন স্বর্গ নেমে আসে এখানে। তবে, স্নান করার জন্য জুনপুট সৈকত খুব একটা নিরাপদ নয়। জুনপুটে গিয়ে কেউ কেউ ঝাউবনে অনেকটা সময় কাটান। এছাড়া, প্রচুর পাখির দেখা মেলে এখানে। ফটোগ্রাফির নেশা যাঁদের আছে, তাঁরা এই জায়গায় খাজানা পেয়ে যাবেন। জুনপুট লাগোয়া আরেকটি সৈকত বাঁকিপুট মাত্র ৩ কিলোমিটার দূরে। ঘুরে আসতে পারেন সেখান থেকেও। কাছেই দরিয়াপুরে রয়েছে একটি  লাইটহাউজ। আর বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের স্মৃতি বিজড়িত কপালকুণ্ডলা মন্দির দেখতে ভুলবেন না। জুনপুটে ভাটার সময় সমুদ্র অনেকটা পিছনে চলে যায় এবং দীর্ঘ কর্দমাক্ত বেলাভূমি প্রসারিত হয়ে ওঠে। সেখানে দাপিয়ে বেড়ায় লাল কাঁকড়ার দল। এখানে ঝাউবনে নানান রকমের পাখির দেখা মিলবে। এখানে পর্যটকদের থাকার জন্য বেশ কিছু ব্যক্তিমালিকানাধীন হোটেল ও রিসোর্ট রয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের পরিচালিত মৎস্য দপ্তরের মৎস্যচাষ ও মৎস্য গবেষণা কেন্দ্র এখানে অবস্থিত।

Tags:

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

বিনোদন ভ্রমণ
Related News