#Pravati Sangbad Digital Desk:
হকির নাম যখনই আসে তখনই ভারত পদক নিতে ওঠে। এই খেলায় ৮টি অলিম্পিক সোনার মতো দুর্দান্ত রেকর্ড ভারতের ঝুলিতে রয়েছে। ১৯২৮-১৯৫৬ সাল পর্যন্ত সময়কে ভারতীয় হকির স্বর্ণ যুগ বলা হয়। ওই সময় ভারত টানা ৬টি অলিম্পিক সোনা জিতেছিল। রুপো ও ব্রোঞ্জ জয় ছাড়াও ভারতীয় দল ১৯৭৫ সালে বিশ্বকাপও জিতেছিল। ভারতের হকি ফেডারেশন ১৯২৭ সালে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায় এবং আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশনে যুক্ত হয়।
ভারতের জাতীয় খেলা কি? তা নিয়ে ভারতের বিভিন্ন জায়গার বিভিন্ন ধরনের ,মানুষদের মধ্যে এমনকি বিভিন্ন বইয়ের মধ্যেও রয়েছে মতভেদ। অনেকের মতে ভারতের জাতীয় খেলা হলো কবাডি, আবার অনেকেরই মত জাতীয় খেলা হকি। এই নিয়ে অনেক মতবিরোধ আছে বলে শোনা যায়। সেই প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রক জানায়, ভারতের কোনো জাতীয় খেলাই নেই! "কোনো খেলাই জাতীয় নয়। ভারতে সব খেলার গুরুত্ব সমান।" ভারত বহুবার অলিম্পিক স্তরে আন্তর্জাতিক খ্যাতি পেয়েছে।
এছাড়া, ১৯৮০ থেকে ২০২১। ব্যবধান ৪১ বছরের। অলিম্পিকে পুরুষদের হকিতে পদক জয়ের পোডিয়ামে ফের উড়েছিল ভারতীয় পতাকা। ব্রোঞ্জ জিতল ভারতীয় পুরুষ হকি দল। বেলজিয়ামের কাছে হারের পরও হাতছাড়া হয় সোনা। কিন্তু তাতেও দমানো যায়নি শ্রীজেশদের। যার প্রমাণ পাওয়া গেল ব্রোঞ্জ পদকে ম্যাচে জার্মানির বিপক্ষে।
একপ্রকার হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে জার্মানিকে পরাস্ত করল ভারত। ভারতীয় হকি দলের জয়কে 'ঐতিহাসিক' বলে বর্ণনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এখানেই শেষ নয়, ফের ভারতীয় হকির জন্য সুখবর এসেছিল। আগামী ১০ বছরের জন্য দেশের পুরুষ ও মহিলা হকি দলকে স্পনসর করার কথা ঘোষণা করলেন নবীন পট্টনায়েক। টোকিও অলিম্পিকে দেশের দুর্দান্ত পারফর্মেন্সের জন্যই এই পুরস্কার ওড়িশা সরকারের। পাশাপাশি ওড়িশা সরকারের পক্ষ থেকে প্রতি খেলোয়াড়কে ১০ লাখ টাকা ও সাপোর্ট স্টাফদের ৫ লাখ টাকা করে পুরস্কার দেওয়া হবে। টোকিও অলিম্পিকে ১১নম্বর দিনে কোয়ার্টার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে ১-০গোলে হারিয়ে সেমিতে পৌঁছে গেল মহিলা হকি টিম। এই প্রথমবার অলিম্পিকের ইতিহাসে প্রথম সেমিফাইনালে পৌঁছালো তাঁরা। ফলে উচ্ছ্বাসে ভাসছে গোটা দেশ। উচ্ছ্বসিত ভারতীয় দল ও টিম ম্যানেজমেন্টও। এই ঘটনার সাক্ষী থাকে ভারত। হকি বললেই এককালে যে দেশকে বুঝত গোটা দুনিয়া, সেই ধ্যানচাঁদের দেশ, ভারতের সামনে সুযোগ সম্মান পুনরুদ্ধারের।