#Pravati Sangbad Digital Desk:
'বিশ্ববাংলার' লোগো ব্যবহারের প্রতিবাদ জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। সোমবার মামলাটি করেন সৌমেন হালদার। স্কুলের নিজস্ব ব্যাচ বা লোগোর বদলে কেন বিশ্ব বাংল৷ লোগো থাকবে? মূলত এই প্রশ্ন তুলে মামলা করা হয়। মামলাকারীর আইনজীবী রাজনীল মুখোপাধ্যায় জানান, নীল-সাদা পোশাক নিয়ে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু বিশ্ববাংল৷ লোগো নিয়ে আপত্তি রয়েছে। রাজ্য সরকারের স্কুল ড্রেস নির্দেশিকা নিয়ে এবার কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের এক আইনজীবী এই মামলা দায়ের করেছে। রাজ্য সরকারের স্কুল ড্রেস নির্দেশিকাকে রীতিমত চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে এই মামলায়। কেন স্কুলের পোশাকে সরকারি লোগো থাকবে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই এই মামলার শুনানি হবে বলে খবর। এই মামলায় রাজ্য সরকারের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দাবি করা হয়েছে। তীব্র বিরোধিতা শুভেন্দু রাজ্য সরকারের স্কুল ড্রেস নির্দেশিকাকে তীব্র নিশানা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি সরাসরি রাজ্য সরকারকে এই নিয়ে নিশানা করেছেন। শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন রাজ্যের শিক্ষা পরকল্পে টাকা পাঠায় কেন্দ্র তারে রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। এই নিয়ে তিনি দিল্লিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের কাছে নালিশ ঠুকবেন বলে জানিয়েছেন। রাজ্য সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে রাজনৈতির প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। স্কুলের পোশাকে সরকারি লোগো কেন? রাজ্য সরকারের নির্দেশিকার প্রতিবাদে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হল। মামলাটি দায়ের করেছে ওআইএসএফ। রাজ্যের সব সরকারি এবং সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত স্কুলে নীল-সাদা পোশাক হবে এবং তাতে থাকবে বিশ্ববাংলার লোগো এমনই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
তারই প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিজেপি। এবার কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা। হাইকোর্টের এক আইনজীবীই এই মামলা দায়ের করেছেন। চলতি সপ্তাহেই তার শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে। স্কুল ড্রেস নির্দেশিকা সম্প্রতি রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে স্কুল ড্রেস নিয়ে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের লেটারহেডে লেখা সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে রাজ্যের সব সরকারি এবং বেসরকারি স্কুলে নীল সাদা পোশাক করতে হবে। তার সঙ্গে থাকবে বিশ্ব বাংলা লোগো। স্কুলে স্কুলে এই নির্দেশিকা পৌঁছে গিয়েছে কিনা তাখনও স্পষ্ট নয়। তবে এই চিঠি প্রকাশ্যে আসার পরেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। শিক্ষাঙ্গনে রাজনৈতিক প্রভাব ইতিমধ্যে একাধিক রাজ্যে স্কুল-কলেজে নানা বিধ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। কর্নাটকে জুনিয়র কলেজে হিজাব নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তাই নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছিল কর্নাটক। তারপরেই আবার গুজরাতে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত গীতা পড়ানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা দেশে। শিক্ষাঙ্গনের গৈরিকীকরণের অভিযোগ করেছে বিরোধীরা।