#Pravati Sangbad Digital Desk:
শহরতলী থেকে আস্তে আস্তে হারিয়ে যেতে বসেছে সবুজ। ইট কাঠ দিয়ে গড়া নগর সভ্যতার মাঝে বিলীন হয়ে গেছে সুবুজের আভা। শহরের বেশ কিছু মানুষ বড়ো বড়ো ইমারতের মাঝে সবুজকে হারিয়ে ফেললেও, গ্রাম বাংলার মানুষ ধরে রাখতে চান তাদের গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য সবুজ বাংলাকে। বিশেষ করে সৌখিন মানুষেরা সবুজকে ধরে রাখার জন্য ছাদেই বানিয়ে ফেলেছেন ছোট্ট বাগান যাকে এক কথায় বলা চলে ছাদ বাগান। খুব কম খাটনিতেই অল্প সময়ের মধ্যে তৈরি হয়ে যায় এই সংসার। অবসর সময় কাটানো এবং একাকীত্ব রোগের মতো ভয়ানক রোগের ওষুধ এর থেকে ভালো আর কিছু হতেই পারে না। যদিও ছাদ বাগান অনেক আগে থেকেই হয়ে আসছে। আগেকার দিনের রাজা রাও তাদের মন ভালো করার জন্য নিজের হাতের তৈরী বাগান বানাতেন এবং প্রতিদিন তার যত্নও করতেন। মাঝে হারিয়ে গেলেও সেই ইতিহাস ফিরে এসেছে আবার। বর্তমানে কিছু মানুষরা ছাদে নিজের হাতেই বাগান তৈরী করছেন। কখনও ফুল গাছ , কখনও সব্জি গাছ আবার কেউ সেটা ব্যবসাতেও পরিণত করছেন। তাই ছাদে বাগান কোনো নতুন ধারণা নয়।
ছাদে বাগান করতে হলে, ছোট আকারের গাছ লাগাতে হবে এবং ছোট আকারের গাছে যেন বেশি ফল ধরে সে জন্য হাইব্রিড জাতের ফলদ গাছ লাগানো যেতে পারে। বীজের চারা নয় কলমের চারা লাগালে অতি দ্রুত ফল পাওয়া যাবে। এছাড়া চৌবাচ্চা আর টবে সবজির বীজ বপন করেও চাষ করা যায়। এছাড়া ছাদে বাগান করলে তার পরিচর্যা ভূমির বাগানের চাইতে একটু বেশি করতে হবে।পাকা বাড়ির খালি ছাদে বেড তৈরি করে অথবা টবে বা ড্রামে চাষাবাদ করে যে বাগান গড়ে তোলা হয় তাকেই ছাদবাগান বলা হয়। ইটের তৈরি যেকোন আবাসিক, বাণিজ্যিক ভবন বা কলকারখানার ছাদে নান্দনিক বাগান গড়ে তোলা যায়। ছাদবাগানে যেমন ফুল ও শোভাবর্ধনকারি গাছ রোপন করা যায়, তেমনি ফল, শাকসবজি, মশলা, ওষধি গাছসহ নানাবিধ উদ্যান ফসলও চাষাবাদ করা যায়। এতে করে একদিকে টাটকা ও নিরাপদ খাবারের সংস্থান করা যায়, অন্যদিকে শহুরে যান্ত্রিক জীবনেও সুশীতল ছায়া, পশুপাখির আশ্রয়, খেলা ও বিনোদনের স্থান নিশ্চিত করা যায়, খোরাক যোগায় অবসরের।