#Pravati Sangbad Digital Desk:
ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ প্রায় দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে হয়ে চলেছে, কিন্তু তাতেও দুই পক্ষের কারোরই যুদ্ধ শেষের কোন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না, অন্যদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের আর্জি ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ যদি ইউক্রেন রাশিয়ার হাতে তুলে দেয় তাহলে রাশিয়া যুদ্ধ থেকে সরে দাঁড়াবে, কিন্তু ইউক্রেন তা মানতে নারাজ। টানা দুই সপ্তাহেরও বেশি সময়ের যুদ্ধে ইউক্রেনের অনেক শহর ধ্বংসপুরিতে পরিণত হয়েছে। পৃথিবীর প্রায় সমস্ত দেশ রাশিয়া ইউক্রেন সমঝোতার চেষ্টা করেছিলো, সেই সাথে চেষ্টা করেছিলো ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও কিন্তু তাতেও চিড়ে ভেজেনি।
যদিও ভারতের সাথে রাশিয়ার বন্ধুত্ব অনেকদিনের, ভারত যখন যে বিপদে পড়েছে পৃথিবীর বাকি দেশ ভারতের পাশে না দাঁড়ালেও বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে রাশিয়া, সে সামরিক অস্ত্র হক বা অন্য কিছু দিকে। আর এবার রাশিয়া ইউক্রেন সম্পর্কের মাঝে ভারতের অবস্থান নিয়ে খুশি রাশিয়া, তাই আবারও বন্ধুত্বের নিদর্শন দিতে চাই রাশিয়া। সুত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, ভারতের নিরপেক্ষতার ওপর খুশি হয়ে ভারতে ব্যাবসার প্রসার ঘটাতে চায় রাশিয়া। জানা গিয়েছে রাশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী আলেকজেন্ডার নৌবাক ভারতের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী হরদ্বিপ সিং পুরির সাথে এই বিষয়ে বৈঠকে বসেছিলেন, ভারতে গ্যাস এবং তেলের ব্যাবসার সম্প্রসারন করতে ইচ্ছুক রাশিয়া। তবে অনেক অর্থনৈতিকবিদদের মতে, আমেরিকা ব্রিটেনের মতো দেশ রাশিয়াকে কোন ঠাসা করেছে, এছাড়া আরও অনেক দেশ রাশিয়ার পণ্য বা তেলকে বয়কট করে, যার ফলে আর্থিক ভাবে বিপর্যস্ত রশিয়া, আর সেই কারনেই তাদের এই ফন্দি।
এদিন বৈঠকে রাশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী আলেকজেন্ডার নৌবাক বলেন, “এই মুহূর্তে ভারতে যেই সমস্ত রাশিয়ান কোম্পানি তাদের প্রজেক্ট তৈরি করছে, তাদের দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য আর্জি জানাচ্ছি”। তার পাশাপাশি শিক্ষা ক্ষেত্রেও ভারতের কাঁধে হাত রাখতে চাই রাশিয়া, জানা গিয়েছে ভারতীয় শিক্ষার্থীরা যাতে রশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পড়াশোনা করতে পারে সেই দিকেও নজর দিয়েছে রাশিয়া।
একদিকে ভারতের নিরপেক্ষতায় খুশি হয়ে রাশিয়া যখন ভারতে ব্যাবসার প্রসার ঘটাতে ব্যাস্ত, ঠিক সেই সময় ইউক্রেনের যুদ্ধ বিধ্বস্ত শরণার্থীদের কথা মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টকে জিজ্ঞেস করতেই, সাংবাদিক সম্মেলন চলাকালীন হেসে উঠলেন তিনি, যা নিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে শুরু হয়েছে জল্পনা। এদিন ওয়ারশতে পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট এবং মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিদের যুগ্ম সাংবাদিক বৈঠক ছিল, সেই সাংবাদিক সম্মেলনে এক সাংবাদিক পোল্যান্ডের রাষ্ট্রপতিকে প্রশ্ন করেন, “শরণার্থীদের আশ্রয়ের জন্য আপনি কি আমেরিকাকে বলবেন?” সাংবাদিকের এই প্রশ্নেই কমলা হ্যারিস হেসে বলেন,”দুঃখের সময় মানুষের পাশে যে দাড়াই সেই প্রকৃত বন্ধু”। এছাড়া তিনি আরও বলেন ইউক্রেনের শরণার্থীদের নিয়ে তারা আলোচনা করেছেন ইতিমধ্যেই, তবে মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্র কত সংখ্যক শরণার্থী গ্রহণ করবে সেই ব্যাপারে এখনও কিছু জানা যায়নি। তবে অনেকেই কমলা হ্যারিসের এই হাসির জবাবে বলেছেন, “ শরণার্থীদের আশ্রয় কোন হাসির কথা নয়”।