#Pravati Sangbad Digital Desk :
দেশের যেকোনো সরকারি ক্ষেত্র যেমন বিদ্যালয়, সরকারি অফিস আদালত, হাসপাতাল বা যেকোনো ধরণের সরকারি কার্যালয় মূলত নির্ভর শ্যাডো ফান্ড বা ছায়া টাকার ওপর। সাধারণত যেকোনো সরকারি অফিসে কোন পন্য কেনার সময় তা পরিমাণে অনেক বেশিই কেনা হয়, যার বাজার মুল্য সাধারণত লাখের ওপরেই থাকে, সরকার সেই সমস্ত টাকা সংশ্লিষ্ট পণ্য প্রদানকারি সংস্থাকে শ্যাডো মানির সাহায্যে দিয়ে থাকে। তাহলে এই ছায়া টাকা ঠিক কি জিনিস?
শ্যাডো মানি হল, শ্যাডো ব্যাঙ্কিং এর একটি অংশ, যা সাধারণত সারা বিশ্বে ঋণ পাইয়ে দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়। তবে শ্যাডো ব্যাঙ্কিং সিস্টেম সাধারণত অনিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে, ফল অনেক ক্ষেত্রেই টাকার দেওয়ার ঢিলেমি লক্ষ্য করা যায়। তবে এবার ছায়া টাকার ব্যবহারে বিপাকে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যসরকারি বহু হাসপাতাল থেকে শুরু করে মেডিক্যাল কলেজগুলি। এত দিন ছায়া টাকার লেনদেনের মাধ্যমেই এ রাজ্যের চিকিৎসা সামগ্রী কেনা হতো প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির থেকে, কিন্তু স্বভাবতই অনেক সময় টাকা দিতে দেরি হওয়ার কারণে আর ধারে চিকিৎসা সসামগ্রী দিতে নারাজ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি। যার ফলে ভাঁড়ারে টান পড়েছে রাজ্যের একাধিক সরকারি হাসপাতাল থেকে শুরু করে মেডিক্যাল কলেজগুলির।
অনেক ক্ষেত্রেই মজুত নেই স্টেন, স্পেস মেকার, ক্যাথিটার, লেন্স, এছাড়া অস্ত্রপ্রচারে ব্যাবহৃত গ্লাভস, উন্নত মানের সুতো, যন্ত্রপাতির যার ফলে ভুগতে হচ্ছে রোগীর পরিজনদের। অনেক ক্ষেত্রেই রোগীর পরিজনেরাই বাইরের দোকান থেকে প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের হাতে তুলে দিচ্ছেন, শুধু তাই নয় দিন দিন বাড়ছে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে বদলির প্রবনতা, সব মিলিয়ে ভোগান্তির শেষ নেই। অন্যদিকে শ্যাডো মানি থেকে বেরিয়ে আসতে নারাজ সরকার। জানা গিয়েছে ২০১৭ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত চিকিৎসা ক্ষেত্রে সরকারের বকেয়া রাশির পরিমাণ ছিল প্রায় ৮০ কোটি টাকার কাছাকছি। চিকিৎসার সামগ্রী সরবরাহকারী সংস্থাগুলির দাবি, “কয়েক বছর আগেও শ্যাডো ফান্ড থেকে আমরা নিয়মিত টাকা পেয়েছি, কিন্তু বর্তমানে সেই অর্থ বকেয়া থেকে তা প্রায় কয়েক কোটিতে গিয়ে ঠেকেছে। এই ভাবে চলতে থাকলে আমাদের পক্ষে চিকিৎসার সামগ্রী দেওয়া সম্ভব নয়”।