#Pravati Sangbad Digital Desk:
টানা দুই সপ্তাহের ওপর হয়ে গেলো যুদ্ধ শুরু হওয়া, দিন যত এগোচ্ছে রুশ আগ্রাসন ততই বেড়ে চলেছে। ইউক্রেনের বেশীরভাগ শহর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে রাশিয়ান সেনার বোমার আঘাতে, কিন্তু তাতেও যুদ্ধ থামার কোন ইঙ্গিতই মিলছে না। তিনবার শান্তি বৈঠকও হয়ে গিয়েছে দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে কিন্তু তাতেও কোন আশার আলো দেখা যায়নি এখনও পর্যন্ত। যুদ্ধের প্রতিবাদে ধীরে ধীরে রাশিয়াকে বয়কট করতে শুরু করেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ, এমনকি আমেরিকা ব্রিটেনের মতো দেশও রাশিয়ার থেকে জ্বালানি তেলের আমদানি বন্ধ করার ঘোষণা করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তীব্র নিন্দার মিখে পড়েছে রাশিয়া, কিন্তু তাতেও বিন্দু মাত্র ভ্রূক্ষেপ নেয় রুশ প্রেসিডেন্টের। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও ইউক্রেন এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সাথে দীর্ঘক্ষণ ফোনে কোথাও বলেছেন যুদ্ধ পরিস্থিতি হাতের মুঠোয় আনার জন্য, কিন্তু তাতেও কোন লাভের আশা দেখা যায়নি।
রুশ প্রেসিডেন্টের দাবি, ইউক্রেন যদি কিয়েভকে রাশিয়ার হাতে তুলে দেয় তাহলে তারা যুদ্ধ থেকে সরে দাঁড়াবে। মাঝে মাঝে মানবিক করিডরের খাতিরে যুদ্ধ বিরতি ঘোষণাও করেছিলো রাশিয়া, কিন্তু যুদ্ধ বিরতি শেষ হওয়ার আগেই একের পর এক হামলা চালিয়েছে রাশিয়ান বাহিনী। তবে নতি স্বীকার করতে নারাজ ইউক্রেন। তবে আজ ১০ই মার্চ যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের বৈঠকে বসার কথা রয়েছে, সুত্র মারফৎ জানা গিয়েছে এই বৈঠক হবে তুরস্কের আন্টালিয়া শহরে এই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। অনেকের মতে এই বৈঠকে হয়তো কিছু আশার আলো দেখা যেতে পারে, তবে সেটা এখনও সময়ের অপেক্ষা।
জানা গিয়েছে এই বৈঠকের প্রধান উদ্দক্তা তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মেভ্লিত সাভাসগলু। তুরস্কে পৌঁছে ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, “ একে অপরকে দোষ না দিয়ে, শান্ত ভাবে বোঝাপড়া করতে হবে”,। এখন দেখার বিষয় এই আলোচনা কতটা স্বার্থক হয়।