#Pravati Sangbad Digital Desk:
গতকাল রাজ্যের ১০৮ পৌরসভায় নির্বাচন শেষ হয়েছে, রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্রই নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়েছে, তবে দু- এক জায়গায় যে অশান্তি একেবারেই হয়নি তা নয়। রাজ্যে গত ২০১৯ সালের পর থেকেই অনেক পৌরসভায় চেয়ারম্যানের মেয়াদ ফুরিয়ে ছিল, ফলে অনেক ক্ষেত্রেই আটকে ছিল বিভিন্ন কাজকর্ম। পরে পুরো নির্বাচনের কথা ভাবনা চিন্তা করা হলেও করোনা মহামারীর কারনে তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি, তাই অগত্যা পৌরসভাগুলিতে নির্বাচিত হয়েছিল চেয়ারপার্সন। তবে এবার রাজ্যে সম্পন্ন হয়েছে পুরো নির্বাচন। গত ডিসেম্বরে কোলকাতা পৌরসভাই নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে, তারপরে রাজ্যের চার পুরো নিগমে শেষ হয়েছে নির্বাচন আর এবার রাজ্যের বাকি ১০৮ পৌরসভাই শেষ হল নির্বাচন। নির্বাচনের ফল প্রকাশ হবে আগামী ২শরা মার্চ।
রাজ্যে পুরো ভোটে বড়সড় ঝামেলার খবর সামনে তেমন ভাবে উঠে আসেনি, তবে অনেক জায়গাতেই ছাপ্পা ভোটের খবর সামনে উঠে এসেছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ৮০ শতাংশের কাছাকাছি ভোট গ্রহণ হয়েছে। রাজ্যে পুরো ভোটে হতাহতের খবর সামনে না এলেও আক্রান্ত হয়েছেন গণমাধ্যমের কর্মীরা। পুরো ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে কোলকাতা হাইকোর্টের কাছে দ্বারস্থ হয়েছিল বঙ্গ বিজেপি, সেই মতো রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে তলব করে কোলকাতা উচ্চ আদালত।
তবে শেষ পর্যন্ত রাজ্য পুলিশের নজরদারিতেই রাজ্যে শেষ হয়েছে নির্বাচন। তবে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি নির্বাচনকে লোক দেখানো বলে আখ্যায়িত করেছে, অন্যদিকে বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের কথায়, “ রাজ্যের সর্বত্র শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে”। অনেক জায়গাই সম্প্রীতির ছবিও উঠে এসেছে।
তবে ভোট শেষ হতে না হতেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে জরুরি তলব করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়, উল্টোদিকে আজ সোমবার রাজ্যে ১২ ঘণ্টা বন্ধ ডেকেছে বিজেপি। বিজেপি দাবি করেছে, “ রাজ্যের সর্বত্র ছাপ্পা ভোট এবং সন্ত্রাসের ছবি সামনে উঠে এসেছে, তাই ১২ ঘণ্টা বাংলা বন্ধের দাবি”, বিজেপির বাংলা বন্ধকে সমর্থন করেছেন রাজ্য কংগ্রেসের অন্যতম মুখ অধীররঞ্জন চৌধুরী। এখন দেখার বিষয় একটাই পৌরসভার দখল কোন রাজনৈতিক দলের হাতে যায়।