#Pravati Sangbad Digital Desk:
সালটা ১৯৭০, স্বল্প বয়সী এক অচেনা তরুণী তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছিলেন জাতীয় কংগ্রেসের হাত ধরে। তারপর জাতীয় রাজনীতিতে নিজের জায়গা পাকা করে নিয়েছেন নিজস্ব মহিমায়। ১৯৮৪ সালে প্রথম ভোটে লড়েছেন, তৎকালীন দাপুটে সিপিএম নেতা সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে হারিয়ে অচেনা মুখ থেকে চেনা মুখে পরিণত হয়েছেন। দীর্ঘদিন থেকেছেন কংগ্রেসের সাথে, ইন্দিরা গান্ধীর সান্নিধ্যে রাজনীতি হিসাবে বেড়ে ওঠা। কেন্দ্রের রেল দপ্তরের দায়িত্ব সামলেছেন বহু দিন। ১৯৯৯ সালে কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে তৈরি করেছেন নিজের দল তৃণমূল কংগ্রেস, দীর্ঘ ৩৪ বছরের বাম দুর্গ ধ্বংস করে বাংলার মসনদে বসেছেন ২০১১ সালে, তারপর থেকে পরপর তিন বার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মনোনীত হয়েছেন। এখন সারা দেশে বিজেপি বিরোধী প্রধান মুখ হিসাবে অনেকেই সেই বাংলার একদিন সকলের অচেনা মেয়েকেই দেখছেন, তিনি আর কেউ নন, তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তবে এবার ছাত্র নেতা আনিস খানের খুনের মামলাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে এক সময়ের সতীর্থ জাতীয় কংগ্রেস। মূলত ডেউচা পাঁচামি এবং আনিস খান হত্যা মামলা এই দুইয়ের বিরুদ্ধে তৃণমূলের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে কংগ্রেস, আর তাতে পূর্ণ সমর্থনও জানিয়েছেন কংগ্রেসের সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। রাজ্যের প্রবীণ কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান আন্দোলনের সমর্থন চেয়ে কংগ্রেস সুপ্রিমোর কাছে চিঠি পাঠিয়ে ছিলেন, আর সেই চিঠির উত্তরেই সমর্থন জানিয়েছেন সনিয়া গান্ধী। তবে কংগ্রেস সুপ্রিমোর তরফ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি, কিন্তু কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে এই দুই মামলার ভিত্তিতে আব্দুল মান্নানকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সনিয়া গান্ধী। অনেকের মতে প্রদেশ কংগ্রেসের এই আন্দোলনকে জোরদার করতে পারলে কংগ্রেস বাংলায় আবার নিজের জায়গা করতে পারবে। বর্তমানে এ রাজ্যে বিধানসভায় কংগ্রেসের কোন বিধায়ক নেয়, সেই অর্থে বলতে গেলে বর্তমানে বাংলা এখন কংগ্রেস মুক্ত, তবে কোলকাতা পৌরসভায় দুই জন কাউন্সিলর রয়েছেন। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগে বাংলায় বাম কংগ্রেস জোট হলেও নিজেদের জায়গা করে নিতে পারেনি।