#Pravati Sangbad Digital Desk :
যোগাযোগের মাধ্যম হোক বা অনুভূতি বোঝানো হোক ভাষার ব্যবহার সর্বত্র। আর এই ভাষার জন্য হয়েছিল আন্দোলন, হয়েছিল লড়াই। কত শহীদের রক্তে সে ভাষা আজও লিপিবদ্ধ। কেবল মাত্র ভাষার জন্য লড়াই ভোলেনি গোটা বিশ্ব। "আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী" গানের মাধ্যমে বেজে উঠেছিল সন্তান হারা মা, ভাই হারা বোন, স্বামী হারা স্ত্রী'র করুন আর্তনাদ। এই করুন সুর ভেসে বেরিয়েছিল বাংলার আকাশে বাতাসে। শুধু মাত্র ভাষার জন্য লড়াই এই প্রথম।
প্রায় দুহাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত দুটি ভিন্ন জাতি, দুটি ভিন্ন ভাষার মেলবন্ধন এরপর পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম। সে থেকে বাংলা ভাষাকে মাতৃভাষা করে তোলবার জন্য শুরু হয়েছিল আন্দোলন। এই আন্দোলনের মাধ্যমে ১৯৮৭ সালে ২৬শে ফেব্রুয়ারী জাতীয় সংসদে 'বাংলা ভাষা' প্রচলন বিল পাস হয়। যা কার্যকরী করা হয়েছিল ৮ই মার্চ ১৯৮৭ সালে।
বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলা এলাকায় অবস্থিত শহীদ মিনারে আজও এই দিনটি পালিত হয়। উর্দুকে নয় বাংলাকে মাতৃভাষা তথা রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে লড়াই আজও শিহরণ জাগায়। বাংলাদেশসহ পশ্চিমবঙ্গের তথা সমস্ত বাংলা ভাষা বাবহারকারি মানুষের কাছে আজ এক ঐতিহ্যবাহী চিরস্মরণীয় দিন। সমস্ত দেশ তথা রাজ্যে এই দিনটি সারম্বরে পালন করা হয়।
১৯৫২ সালে এই দিনে বাংলাকে পূর্ব পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে যে আন্দোলন হয়েছিল তাতে পুলিশের হাতে প্রাণ গেছে ছাত্র তথা তরুণ যুবসমাজের। তাই এই দিনটি শহীদ দিবস হিসাবেও পালন করা হয়। এই দিনটি সরকারি ছুটির দিন হিসাবে ঘোষিত করা হয়।
বাঙালির মাতৃভাষা, গর্বের ভাষা বাংলা। আমাদের প্রত্যেক বাঙালির কাছে বাংলা ভাষার গুরুত্ব অপরিসীম। এই মাতৃভাষা কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে ঐক্য ঐতিহ্য সনংনস্কৃতি। মাতৃভাষা হলো জাতি ধর্ম বর্ণের মিলনক্ষেত্র। ২১শে ফেব্রুয়ারী বাঙ্গালী জাতির চির প্রেরণা ও স্মরণীয় একটি দিন। মাতৃভাষা বাঙালির গর্বের ভাষা। তাকে শ্রদ্ধা জানানো প্রত্যেক বাঙালির কর্তব্য।