#Pravati Sangbad Digital Desk:
সেই শেষ কবে স্কুলের গেটের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল ঠিক মনে পড়ে? স্কুলের সেই সবুজে ঘেরা খেলার মাঠ, টিফিন টাইমে বন্ধুদের সাথে একসাথে খেলা-খাওয়া, উফফ সেকি না মজাই ছিল ! কিন্তু কি আর হবে সুখের মজার দিনে বাঁধ সাধলো অতিমারী করোনা ভাইরাস। গত দু'বছর ধরে বন্ধ হয়ে রইল স্কুলের গেট, ক্লাসরুম। তার জায়গা নিলো অনলাইন ক্লাস। কি বিচ্ছিরি ব্যাপার ! না দেখা হচ্ছিল বন্ধুদের সাথে, আর না হচ্ছিল টিফিন টাইমের খেলা-খাওয়া, সবুজ মাঠে দৌড়া দৌড়িও একদম বন্ধ। ধুর ভালো লাগে না !
কিন্তু শেষমেশ সুখের দিন আবার ফিরে এলো। অনলাইন ক্লাস ছেড়ে বড়দের স্কুল-ক্লাস খুলেছিল আগেই এবার পালা ছোট কচিকাঁচাদেরও। সরকারি নির্দেশে আজ বুধবার থেকে খুলে যাচ্ছে সমস্ত প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক স্কুলগুলি। কাল থেকেই বিভিন্ন বিদ্যালয় গুলোতে পরিষ্কার পরিছন্ন করার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছিল। প্রায় দু’বছর পর ফের বিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের আসার অপেক্ষায় উৎসাহিত শিক্ষক শিক্ষিকারাও। আজ বুধবার থেকে সমস্ত অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রও খোলার নির্দেশ দিয়েছে সরকারে। কীভাবে কি কি বিধিনিষেধ মেনে ক্লাস শুরু করা হবে, সেই নির্দেশিকা দেবে স্কুল শিক্ষা দফতর। আজ থেকে পুরোপুরি সশরীরে আসবে শিক্ষক শিক্ষিকারা এবং ছোট ছোট ছাত্র-ছাত্রীরা, এবং এর ফলে বন্ধ হচ্ছে পাড়ায় শিক্ষালয়।
বড়দের ক্ষেত্রে ৫০% ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে ক্লাস শুরু হওয়ার পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, " অতিমারীর জন্য বিগত দু'বছর ধরে স্কুল বন্ধ হয়ে আছে। এখন আস্তে আস্তে স্কুলগুলি চালু হয়েছে। পঞ্চম থেকে সপ্তম শ্রেণি পাড়ায় পাড়ায় শিক্ষালয় চলছে। একেবারে ছোটদের ক্ষেত্রে আর কিছুদিন অপেক্ষা করে কোভিড যদি সমস্যার না হয় তাহলে ৫০ শতাংশ উপস্থিতি নিয়ে ক্লাস করা যায় কি না সেটা স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে হবে। ভাগাভাগি করে ক্লাস করা যায় কিনা সেই সম্পর্কে আলোচনা করতে হবে । যদি এমনটা হয় এই যেমন সোমবার যারা এল, তারা মঙ্গলবার এল না। তাহলে অন্তত প্রাথমিক স্তরের ক্লাসও হবে এবং ছাত্র-ছাত্রীদের অসুবিধাও হবে না তেমন।"