#Pravati Sangbad Digital Desk:
দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ নিম্নমুখী, আগের থেকে অনেকটাই কমেছে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা। দেশের প্রায় সমস্ত রাজ্যে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে জনজীবন, খুলতে শুরু করেছে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়, খুলেছে সমস্ত সরকারি বেসরকারি অফিস। কিন্তু তার মধ্যেই চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে মস্কি ফিভার। সম্প্রতি কেরলের থিরুনেল্লি গ্রামের এক যুবকের শরীরে এই ভাইরাস বাসা বেঁধেছে বলে জানতে পারা গিয়েছে, যা নিয়ে চিন্তায় কেরল সরকার। জানা গিয়েছে একটা সময় এই ভাইরাস দেশে অতিমারির আকার ধারণ করেছিলো, মারাও গিয়েছিলেন বহু মানুষ। ২০১৮ সালে এই ভাইরাসের হদিশ মিলেছিল গোয়ায়। চিকিৎসকদের মতে, হেমাফিসোলিস স্পাইনিজেরা নামক এক পোকার দেহে এই ভাইরাস জন্ম নেয়, যা পশু পাখির দেহে বাসা বাঁধে। খুব স্বাভাবিক ভাবেই যেই সমস্ত মানুষের আনাগোনা জঙ্গল কেন্দ্রিক বা পশু -পাখি কেন্দ্রিক তাদের শরীরে এই ভাইরাসের বাসা বাধার আশঙ্কা তুলনামুলক অনেকটাই বেশি।
এই ভাইরাসের জন্ম যেহেতু জঙ্গলে বা ফরেস্টে তাই এই ভাইরাসের ওপর নাম ক্যাসানুর ফরেস্ট ডিজিজ। এই ভাইরাসের লক্ষণগুলি হল, হালকা জ্বর, শরীরে শীত শীত ভাবের অনুভব হওয়া, পেশি টান, পেটের যন্ত্রণা অনেক সময় পেটের গণ্ডগোলও দেখা যায়, তার সাথে মাথা ব্যাথা সেই সাথে রক্তে প্লেটলেট কমে যাওয়া। ভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়ার পর অনেক সময় মানসিক সমস্যার সাথে সাথে দৃষ্টি শক্তি চলে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটে। কেরল স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফ থেকে শুরু হয়েছে সচেতনতা শিবির। জানা গিয়েছে মস্কি ফিভার আক্রান্ত ব্যাক্তি মানানথাবাদি মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছেন, শারীরিক অবস্থার নতুন করে কোন অবনতি ঘটেনি।