#Pravati Sangbad Digital Desk:
সামনেই ৫ রাজ্যে বিধানসভা ভোট, প্রচার চলছে জোর কদমে। বিধানসভা নির্বাচন লড়তে প্রস্তুত ভারতীয় জনতা পার্টি থেকে শুরু করে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি। কিন্তু তার আগেই ত্রিপুরা বিজেপিতে ফাটল ধরল। সোমবার পদ্ম শিবির ত্যাগ করলেন ত্রিপুরার বিধায়ক সুদীপ রায়বর্মণ, এদিন তার সাথে একই পথে হেঁটেছেন আরও এক বিজেপি নেতা আশিসকুমার সাহাও। সুদীপ রায়বর্মণ ত্রিপুরার এক জাঁদরেল নেতা বলেই সবার কাছে পরিচিত, তবে তার দল ত্যাগের ঘটনা নতুন কিছু নয়। এর আগেও তিনি এক দল ছেড়ে অন্য দলে গিয়েছেন, রাজনৈতিক জীবনের শুরুর দিকে তিনি ছিলেন কংগ্রেসে, তারপর সেখান থেকে তৃণমূলে। তৃণমূল ত্যাগ করে আবার বিজেপিতে। ত্রিপুরার রাজনৈতিক মহল সাক্ষি রয়েছে, সুদীপ রায়বর্মণ যখন সেই দলে গিয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্য বিরোধী দলের মুখ তিনিই হয়ে উঠেছেন। ত্রিপুরার দীর্ঘ বাম শাসনের অবসানের পেছনেও তার অবদান ছিল, একটা সময় মন্ত্রীও ছিলেন কিন্তু দলের অন্দরে সমালোচনার কারণে মন্ত্রিত্ব পদ থেকে ইস্তফা দেন।
এদিন সুদীপ রায়বর্মণের সাথে তার বেশ কিছু অনুগামী বিজেপি ত্যাগ করেছেন, তাদের মধ্যে অনেকেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছে, তবে সুদীপ রায়বর্মণ কোন দলে নাম লেখাবেন সেটাই এখন দেখার। অন্যদিকে আশিসকুমার সাহা সুদীপ রায়বর্মণের সাথে দিল্লি গিয়েছেন বলে সুত্র মারফৎ জানতে পাড়া গেছে। তবে কংগ্রেস দাবি করেছে, সুদীপ রায়বর্মণ আবার কংগ্রেসে যোগ দেবেন, কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সাথে তার একাধিক বৈঠকের কোথাও জানা গেছে, তবে এই ব্যাপারে সুদীপ রায়বর্মণ কিছু বলেননি। সোমবার বিজেপি ত্যাগ করে তিনি ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের উদ্যেশ্যে তিনি বলেন, “ ত্রিপুরায় বিজেপি খুব তাড়াতাড়ি সংখ্যালঘু সরকারে পরিণত হবে, সরকার ভেঙ্গে পড়ার কোথাও বলেন তিনি”। যদিও ত্রিপুরার বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, “ দলের অসংখ্য কর্মী সমর্থক রয়েছেন, তাদের মধ্যে একজন দুইজন কর্মী সমর্থক দলত্যাগ করলে সরকারের কোন ক্ষতি হবে না।“ বিজেপি ছেড়ে তিনি গনতন্ত্র রক্ষা করার দাবিও জানিয়েছেন।