দেখে নিন প্রতিদিন ডিম খাওয়া শরীরের পক্ষে কতটা উপকারী

banner

journalist Name : SANGITA RANA

#pravati sangbad digital desk:

ডিম স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। শিশু থেকে শুরু করে বয়োজ্যেষ্ঠ অনেকেই ডিম খেতে পছন্দ করে। তবে অনেকেই দৈনিক ডিম খেতে ভয় পান, যদি ওজন বেড়ে যায় কিংবা হৃদরোগের আশঙ্কা বাড়ে এই ভেবে। ডিমে রয়েছে উচ্চমাত্রার প্রোটিন, যা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। করোনায় এই সময়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো খুবই জুরুরি। তাই প্রতিদিন একটি ডিম খাওয়া উচিত।
পুষ্টিবিদদের মতে, সকালে একটি করে ডিম খাওয়া শারীরিক বিভিন্ন রোগের সমাধান করতে পারে। তবে এটি নির্ভর করে কে কীভাবে ডিম খাচ্ছেন।
শরীর দুর্বল হলে সকালবেলার খাবারে  সিদ্ধ ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। অনেকেই ডিমের কুসুম ফেলে দিয়ে সাদা অংশটা খান। পুষ্টিবিদদের মতে, দিনে একটি নয় অন্তত ২টি ডিম কুসুমসহ খেতে পারবেন। আর যদি এর চেয়েও বেশি ডিম খেতে চান তাহলে সাদা অংশ খেতে পারেন।
অন্যদিকে ডিম যত বেশি ভাজা হয় এর পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। তাই ডিমের পোচ বা হাফ বয়েল খাওয়া ভালো। দরকার হলে ফুল বয়েল ডিমও খাওয়া যেতে পারে। তবে ডিমের অমলেট সপ্তাহে একবার খাওয়া দরকার।
স্বাস্থ্য ভালো রাখতে নিয়মিত ডিম খাওয়া বেশ উপকারী। ডিম অনেক পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ একটি খাবার। এটি ক্যালসিয়াম, আয়রন ও প্রোটিনের ভালো উৎস। 

>>ডিমের পুষ্টি উপাদান
একটি ডিমে এনার্জি থাকে ১৪৩ ক্যালোরি। আর কার্বোহাইড্রেট থাকে ০.৭২ গ্রাম মতো। প্রোটিন থাকে ১২.৫৬ গ্রাম, ফ্যাট থাকে ৯.৫১ গ্রাম। এছাড়া ফসফরাস থাকে ১৯৮ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ১৩৮ মিলিগ্রাম, জিঙ্ক থাকে ১.২৯ মিলিগ্রাম।
ডিমের সাদা অংশে থাকে প্রোটিন ও কুসুমে থাকে ভালো ফ্যাট, আয়রন ও ভিটামিন। শিশুর দৈহিক বৃদ্ধি, হাড় শক্ত করতে ও মেধার বিকাশে ডিম খুবই কার্যকর। ডিমে আরও আছে ভিটামিন এ, যা দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে। আর কুসুমে থাকা ভিটামিন ডি, হাড়ের জন্য ভালো।
>>আসুন জেনে নিই প্রতিদিন একটি ডিম খাওয়ার উপকারিতা -
১. প্রতিদিন একটি ডিম খেলে শরীরে ভিটামিন ও মিনারেলের চাহিদা অনেকটাই পূরণ হয়। এটি দেহের কোষের কার্যক্রম ভালো রেখে শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
২. চোখ ভালো রাখতে প্রতিদিন একটি ডিম খান। ডিমের মধ্যে রয়েছে লুটেইন এবং জিয়াক্সএনথিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা চোখের ছানি ও অন্ধত্ব প্রতিরোধ করে।
৩. ডিমে থাকা ভিটামিন ও মিনারেল মস্তিষ্কের কোষকে ভালো রাখে। এটি স্নায়ুকেও সুস্থ রাখে ও স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।
৪. ডিমে রয়েছে ক্যালসিয়াম, আয়রন ও উচ্চমাত্রায় প্রোটিন, যা শরীরের পেশিকে ভালো রাখে। এবং পেশির শক্তি বাড়ায় ও কর্মক্ষম রাখে। 
৫. গবেষকরা বলেন, ডিম খেলে দীর্ঘ সময় ধরে পেট ভরা থাকে। ফলে অন্য খাবার গ্রহণে আগ্রহ কমে ও দৈনন্দিন ক্যালোরির চাহিদার পূরণ হয়। 
৬. ডিমের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি১২ ও সেলেনিয়াম, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। 

৭.প্রোটিনের মূল উৎস হলো অ্যামিনো অ্যাসিড। প্রোটিন তৈরিতে প্রায় ২১ ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিড লাগে। যার মধ্যে ৯টি শরীরে তৈরি হয় না। এজন্য বাইরে থেকে প্রোটিন গ্রহণ করতে হয়। যা মেলে ডিম থেকে।
৮.নখ ভেঙ্গে যাওয়ার সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। নখ মজবুত করে সালফার। আর ডিম হলো এই সালফারের উৎস। নখকে সুন্দর ও সাদা রাখতেও সাহায্য করে সালফার। তাই নিশ্চিন্তে ডিম খান।
৯.ডিমের মধ্যে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও ভালো চর্বি। অনেকে ভাবেন– সব চর্বিই খারাপ। কথাটি সঠিক নয়। স্বাস্থ্যকর চর্বিও রয়েছে। এটি শরীরের জন্য ভালো। 
১০.হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্য উন্নত করে ডিম। হাড় মজবুত করে ফসফরাস। এই উপাদানটি আবার দাঁতও মজবুত করতে সাহায্য করে। তাই হাড় ও দাঁত মজবুত রাখতে ডিম প্রতিদিন খাওয়া ভালো।

Tags:

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Related News