#Pravati Sangbad Digital Desk:
চকলেট নাম শুনলেই জিভে জল। ছোট থেকে বড় সবারই প্রিয় এই চকলেট জিনিসটি। কাউকে গিফট করতে বা একাকিত্ব কাটাতে চকলেট অনেক ভাবেই সাহায্য করে আসছে বছরের পর বছর। আর চকলেটে রয়েছে নানা গুন। যেমন এতে প্রোটিন, ভিটামিন, ফ্যাট সবকিছুই মজুত রয়েছে। তবে কখনও শুনেছেন চকলেট খেলে সর্দি কাশি সেরে যায়? না এমনটা আশা করি কেউ কখনও শোনেন নি। এখন কার সময়ে সবারই সর্দি, কাশি, গলা ব্যাথা লেগেই রয়েছে। বিশেষ করে বাচ্চাদের আর রোগ বেশি মানে শরীরের ইমিউনিটি পাওয়ার কমে যাওয়া। বিশেষ করে বাচ্চাদের জন্য সেটি খারাপ। আর ঘন ঘন শরীর খারাপের কারণে ওষুধ খাওয়া শরীরের জন্য উপকারী নয়। ওষুধ যেমন রোগ সারাতে সাহায্য করে তেমনি শরীরের ভিতরে ক্ষতি করে। তাই আলসার, র্যাশ, অল্পেতে শরীর খারাপ, দুর্বলভাব ইত্যাদি দেখা দেয়। আগেকার দিনে তাই সামান্য সর্দি, কাশি, গলা ব্যাথায় ওষুদের পরিবর্তে প্রাকৃতিক উপাদান যেমন রামতুলসী পাতার রস, আদা, কাঁচা হলুদ, মধু ইত্যাদির ব্যবহার করা হত। কিন্তু কর্ম ব্যস্তমুখর মানুষের ওতো সময় কোথায়? তবে এই চকলেট বানিয়ে আপনি স্টোর করেও রাখতে পারেন বেশ কিছুদিন। আর যে সব বাচ্চারা ওষুধ খেতে পছন্দ করে না তাদের জন্য এটি বিশেষ কার্যকরী হবে আর যে সকল উপাদান দিয়ে এটি বানানো সেগুলি সর্দি কাশি নিরাময়ে সাহায্য করে।
আসুন জেনে নিন বানানোর পদ্ধতি।
উপকরণ :
আদা = ৫০ গ্রাম
গুড় =১০০ গ্রাম
ছোট এলাচ = ৫-৬ টি
বিত্নুন = পরিমান মতো
পদ্ধতি :
গ্যাস জ্বালিয়ে প্রথমে আদাটিকে হালকা পুড়িয়ে নিন। যাতে খোসা টা ছাড়ানো যায়। এবার আদার পেস্ট বানিয়ে নিন সামান্য জল দিয়ে। গুড়টা গ্রেট করে রেখে দিন ও এলাচ দানাগুলো ছাড়িয়ে গুঁড়ো করে রেখে দিন। এবার কড়াই গরম করে তাতে আদা দিয়ে নাড়তে থাকুন। জল মরে এলে গুড়টা দিয়ে নাড়তে থাকুন। গুড় গোলে এলে ওতে এলাচ দানার গুঁড়ো ও বিটনুন দিয়ে নাড়তে থাকুন। গ্যাসের আঁচ কিন্তু লো রাখবেন। এবার থকথকে হয়ে এলে চামচে করে সামান্য নিয়ে ঠান্ডা জলে ফেলে দেখবেন ওটি গুলে যাচ্ছে কিনা। যদি থকথকে হয়ে থাকে আর রংটি কালচে বা চকলেট রঙের হয়ে যায় তাহলে গ্যাস অফ করে দিন। এবার একটি প্লেটে অল্প তেল লাগিয়ে রান্না করা আদাগুলিকে তার উপর ঢেলে দিন। ঠান্ডা হয়ে এলে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে এয়ার টাইট জারে রেখে দিন। এটিকে ১০-১৫ দিন স্টোর করা যাবে। এটি খেতে যেমন ভালো তেমনই কার্যকরী এই চকলেট আদা রেসিপিটি।