#Pravati Sangbad Digital Desk:
গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বেই ভোটের চূড়ান্ত লড়াই থেকে সরে দাঁড়ালেন গোয়ার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা অন্যতম মুখ্য লুইজিনহো ফেলেইরো। এদিন তিনি জানিয়েছেন ফাতোরদা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে মনোনয় তুলে নিচ্ছেন। তৃণমূলের তরফ থেকে এই আসনে অন্য এক মহিলাকে প্রার্থী করা হবে। ফেলেইরো বলেছেন এটাই দলের নীতি। আমি আমার দলের সর্বভারতীয় চেয়ারম্যানের সঙ্গে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি বৈঠকের পরে। আমি গোয়াতে প্রচারে নামবো তৃণমূলের সমস্ত প্রার্থীদের জন্য।
>>সরলেন ভোটের লড়াই থেকে
প্রসঙ্গত, বিগত গোয়ার একের পর এক নেতা কয়েকদিনে তৃণমূল ছেড়েছেন। ফলে ঘাসফুল শিবিরের উপর স্বাভাবিক ভাবেই চাপ বাড়ছিল। এবার এই নির্বাচনী লড়াই থেকে পুরোপুরি ভাবে সরে দাঁড়ালেন ফেলেইরো। গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফেলেইরো গত সেপ্টেম্বরেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন কংগ্রেস ছেড়ে। তারপর মুহূর্তেই তাঁকে জোড়াফুলের তরফ থেকে সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতির পদ দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি তাকে দেওয়া হয় রাজ্যসভার সাংসদ পদ। তবে ফেলেইরো এই নির্বাচনী লড়াই থেকে পুরোপুরি সরে দাঁড়ালেন কিনা বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়।
>>বিধানসভা নির্বাচনে নজরে গোয়া
প্রসঙ্গত, গোয়া বিধানসভা কেন্দ্রে ৪০ টি আসনে বিধানসভা নির্বাচন হবে আগামী ১৪ ই ফেব্রুয়ারীতে। ফলাফল ঘোষিত হবে ১০ ই মার্চ। পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের পর ত্রিপুরার মতো গোয়াকেও ঘাসফুল শিবির পাখির চোখের মতো নজরে রেখেছে। সম্প্রতি, গোয়া সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সেখানে সংগঠন বানানোর কাজ শুরু করেছে। কিন্তু, জোড়াফুল শিবির বছরের শুরুতেই একের পর এক ধাক্কা খেয়েছে। কারণ একাধিক নেতা ঘাসফুল শিবির ত্যাগ করেছে। ইতিমধ্যেই জোড়াফুলের তরফ থেকে প্রার্থী তালিকাও ঘোষণা করা হয়েছে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল আম আদমি পার্টিও তৃণমূলের মতো গোয়াতে দাগ কাটতে মরিয়া। আর কয়েকদিন পরেই ৫ রাজ্যে হাইভোল্টের বিধানসভা নির্বাচন।কিন্তু, এইসব গুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি তৃণমূলের নজর গোয়াতে। কারণ সম্প্রতি সেখানে সংগঠন তৈরি হয়েছে। ঘোষণা হয়েছে প্রার্থীও। কিন্তু, ভোটের পূর্বেই নির্বাচনী লড়াই থেকে গোয়ায় তৃণমূলের মূল কান্ডারি সরে দাঁড়ালেন।