#Pravati Sangbad Digital Desk:
করোনার বিস্তার রোধে দেশব্যাপী বিধিনিষেধ জোরদারের পাশাপাশি এবার নিজের বিয়ের অনুষ্ঠানও বাতিল করলেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডেন। করোনার থাবায় বিপন্ন দেশ। নয়া স্ট্রেইন ওমিক্রনের কারণে বিশ্ব জুড়ে আছড়ে পড়েছে করোনার ঢেউ। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন দেশে জারি বিভিন্ন কোভিড বিধিনিষেধ।এদিন জেসিন্ডা আর্ডেন ঘোষণা করেন, "বর্তমান পরিস্থিতিতে বিয়ের অনুষ্ঠান সম্ভব নয়। কোভিড পরিস্থিতিতে যাঁরা খুব খারাপ পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন তাঁদের প্রতি সমব্যথী হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।"
সংক্রমণ রুখতে জারি করা হয়েছে নতুন করোনার বিধিনিষেধ। সেই অনুযায়ী বর্তমান পরিস্থিতি অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ ১০০ জন অতিথিকে ডাকা যাবে। প্রত্যেকের টিকার দুটি ডোজ সম্পূর্ণ হওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডেন, নিজেই নিজের বিয়ে আপাতত স্থগিত রাখার কথা জানিয়েছেন । উত্তর থেকে দক্ষিণ দ্বীপে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর নয়জন ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার পর নিউজিল্যান্ড সরকার বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান এবং ভিড়ের বিষয়ে বিধিনিষেধ জারি করেছে। গত রবিবার মধ্যরাত থেকে এই বিধিনিষেধ কার্যকর হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
জেসিন্ডা আর্ডেন আরও বলেন, “আমি আর দশজন নাগরিকের থেকে আলাদা নেই। আমার চেয়েও খারাপ অবস্থার শিকার হয়েছেন অনেকে। অসুস্থ আপনজনের পাশেও থাকতে পারছেন না তারা। তাদের পরিস্থিতির তুলনায় আমার দুঃখ কিছুই না।আমার বিয়ে স্থগিত হওয়ার জন্য যদি মানুষের ওপর থেকে সংক্রমণ কিছুটা কমে তাহলে আমি জানবো আমি সত্যি মানুষের জন্য কিছু করতে পেরেছি।"
প্রসঙ্গত,বিশেষজ্ঞদের একাংশ এখনও বলে চলেছেন, ওমিক্রনেই হয়তো অতিমারীর শেষ। সব দেশ একজোট হয়ে লড়লে চলতি বছরেই করোনা-বিদায়ের একটা সম্ভাবনার কথা বলেছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) প্রধান তেদ্রোস আধানম ঘেব্রেইয়েসুসও। যদিও পরে তিনি নিজেই বলেছেন, 'এখনই অতিমারী শেষ হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। গোটা বিশ্বেই ভয়ঙ্কর দাপট দেখাচ্ছে ওমিক্রন। যে সব দেশে টিকাকরণের হার কম, তাদের নিয়ে আমরা যথেষ্ট চিন্তায় রয়েছি।' একই সঙ্গে করোনার এই নয়া ভ্যারিয়েন্টকেও কোনও অর্থে হালকা ভাবে নিতে নারাজ হু-প্রধান।