#Pravati Sangbad Digital Desk:
কিছুদিন আগেই মানুষের হৃদপিণ্ডের বদলে শুয়োরের হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপনের ছবি সামনে উঠে এসেছে। চিকিৎসকদের দাবি মানব দেহে স্বাভাবিকের মতোই কাজ করছে শুয়োরের হৃদপিণ্ড, মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হলে যদি অন্য প্রাণীর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বসানো সম্ভব হয় তাহলে তা চিকিৎসা বিজ্ঞানকে নতুন পথ দেখাবে। তবে এবার মানব দেহে শুয়োরের কিডনি স্থাপন করে নজির গড়লেন চিকিৎসকরা। কিডনি প্রতিস্থাপনের এই অভিনব ঘটনাটি প্রকাশিত হয়েছে আমেরিকান জার্নাল অফ ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন পত্রিকার চলতি মাসের একটি সংখ্যায়। অনেক সময় কিডনির অভাবে মানুষের মৃত্যু ঘটে, কিন্তু নতুন এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে সাফল্য মিলবে বলে আশাবাদী চিকিৎসকরা। বার্মিংহামের আলাবামা বিশ্ববিদ্যালয়ের শল্য চিকিৎসকরা এমনই বলছেন। তাদের দাবি শুয়োরের কিডনি দুটিকে নিখুত ভাবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, মানব দেহ সেই প্রতিস্থাপনকে মেনে নিয়েছে, কোন রকম অস্বাভাবিকতা সেই রোগীর শরীরে আসেনি। আমেরিকার ‘ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন' ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য অনুমোদনও দিয়েছে।
আমেরিকার ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডায়াবিটিস অ্যান্ড ডাইজেস্টিভ অ্যান্ড কিডনি ডিজিজেজ’-এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ক্যান্সার বা অন্যান্য রোগে প্রতি বছর সারা বিশ্বে মানুষের মৃত্যুর হার যত কিডনির সমস্যাই মৃত্যুর হার তার তুলনাই অনেক বেশি। এর আগে শিম্পাঞ্জির কিডনি মানব দেহে প্রতিস্থাপনের চেষ্টা করা হয়েছিল দীর্ঘদিন ধরে কিন্তু তাতে কোন সাফল্য মেলেনি। তবে এর আগে ১৯৮০ সালের আশেপাশে মানব দেহে শুয়োরের কিডনি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল, তবে দুর্ভাগ্যবসত ৫০ ঘণ্টার বেশি তা সক্রিয় থাকেনি। বার্মিংহামের আলাবামা বিশ্ববিদ্যালয়ের মারনিক্স ই হিরসিঙ্ক স্কুল অব মেডিসিনের ট্রান্সপ্ল্যান্ট ইনস্টিটিউটের অধিকর্তা জেমি লকের নেতৃত্বে চিকিৎসকদের এক বিশেষজ্ঞ দল শুয়োরের কিডনি দুটি জিনগত ভাবে উন্নতি ঘটিয়ে মানব দেহে বসিয়ে দেন, যদিও সেই ব্যাক্তি ছিলেন মৃত্যু পথযাত্রী। অস্ত্রপ্রচারের পর যতক্ষণ রোগী বেঁচে ছিলেন, ঠিক ততক্ষন শুয়োরের জিনগত ভাবে উন্নত কিডনি দুটিকে একদম মানুষের কিডনির মতো ব্যাবহার করতে দেখা গেছে।