#Pravati Sangbad Digital Desk:
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নানানরকম রোগ-ব্যাধি লেগেই রয়েছে। আর ছোটো থেকে বড় সব বয়সেরই ওষুধ প্রয়োজনীয়। বিশেষত এই করোনার জন্য আমাদের ঘরে ঘরে ওষুধের ব্যবহার আরও বেড়েই চলেছে। তাছাড়া, পরিবেশ দিন দিন এতই দূষিত হয়ে পড়ছে, যার জন্য ওষুধের ব্যবহার আরও বেড়েই চলেছে।এই চলতি সময়ে ঘরে ঘরে শিশু থেকে শুরু করে বয়স্কদের মধ্যে জ্বর একটা সাধারণ রোগে পরিণত হয়েছে। আর এই জ্বর হলেই আমরা সাধারণত বাজার-চলতি প্যারাসিটামলকে বেছেনি। কিন্তু এই প্যারাসিটামল যেমন শরীরকে সুস্থ করতে সাহায্য করে, তেমনি অতিরিক্ত প্যারাসিটামল সেবনের ফলে শরীরের ক্ষতিও করে। যেমন- বমি বমি ভাব, পেট ব্যাথা, ক্ষুদামান্দ্য, ডায়রিয়া, গাঢ় প্রস্রাব, মাত্রাতিরিক্ত জ্বর, পিঠের নিচের দিকে ব্যথা, ত্বকে লাল দাগ, আমবাত, চুলকানি, গলা ব্যথা, আলসারের লক্ষণ, শ্বাসকষ্ট, হলুদ চোখ, ফ্যাকাশে চামড়ার মতো বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনার থাকে অতিরিক্ত প্যারাসিটামল সেবনের ফলে।
তাছাড়া, কারোর যদি কিডনির ব্যাধি, রক্তে পটাশিয়ামের ঘাটতি, যকৃতের রোগ, মায়াস্থেনিয়া গ্রাভিস, হৃদরোগের সমস্যা থাকে তাহলে তাদের চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্যারাসিটামল গ্রহণ করা উচিত। গর্ববতী মহিলা ও দুগ্ধজাত শিশুদের প্যারাসিটামল সেবন না করাই ভালো। এতে রয়েছে পটাশিয়াম সরবেট, স্টিয়ারিক অ্যাসিড, পোভিডোন এবং দ্রবণীয় স্টার্চ যা মা ও শিশুর দুজনেরই ক্ষতি করে। অতিরিক্ত প্যারাসিটামল সেবনের ফলে মাথার চুল পরে যাওয়ারও সম্ভাবনা থাকে। ১২ বছরের কম বয়সের শিশুদের জন্য মেথিওনিনযুক্ত প্যারাসিটামল একেবারে নিষিদ্ধ। সাধারণত বিভিন্ন পাওয়ারের প্যারাসিটামলের ক্ষতিকারক প্রভাবগুলি একই হয়। যেমন, প্যারাসিটামল ৫০০মিগ্রা, প্যারাসিটামল ৬৫০মিগ্রা ও প্যারাসিটামল ৭৫০মিগ্রা এইগুলিতে রক্তাল্পতা, ত্বকে এলার্জি, রক্তাল্পতা, ক্লান্তিভাব, স্টিভেনস-জন্সন সিন্ড্রোম, গ্যাস্ট্রিক আলসার, খিটখিটে মেজাজ ইত্যাদি লক্ষণ দেখা যায়।