আগামীকাল ১৫ আগস্ট আলাস্কায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বৈঠকে বসবেন। রাশিয়া বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, ‘প্রেসিডেন্টরা নিঃসন্দেহে ইউক্রেন সংকট নিয়ে আলোচনা করবেন, দীর্ঘকালীন শান্তি চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করতে।’
সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতি চায় ইউক্রেনে। ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং অন্যান্য ইউরোপীয় রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে বৈঠকে একযোগে এই দাবি উঠল। সেই দাবিতে সুর মেলালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। ইউরোপীয় রাষ্ট্র এবং জেলেনস্কির স্পষ্ট দাবি, সংঘর্ষবিরতি এবং নিরাপত্তার ‘গ্যারান্টি’ দিতে হবে। রাষ্ট্রনেতাদের মতে, এবার বল ভ্লাদিমির পুতিনের কোর্টে। আমেরিকায় যাচ্ছেন মোদি, ‘বন্ধু’ ট্রাম্পের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে বরফ গলবে কি?
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে বহুল প্রতীক্ষিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
১৫ আগস্ট আলাস্কায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠক হবে। রাশিয়ার তরফে এক বিবৃতি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়, ‘প্রেসিডেন্টরা নিঃসন্দেহে ইউক্রেন সংকট নিয়ে আলোচনা করবেন, দীর্ঘকালীন শান্তি চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করতে।’ এই প্রসঙ্গে বলে রাখা যায়, ট্রাম্প বহুদিন ধরেই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ থামানোর চেষ্টা করলেও তাতে বিশেষ ফল হয়নি। আর এতে পুতিনের উপর বেজায় ক্ষিপ্তও হয়ে পড়েন ট্রাম্প। এমনকী, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে বলেন, “অস্ত্র দিলে মস্কোতে বোমা ফেলতে পারবেন?” যদিও ক্ষমতায় ফিরে নীতি বদলে পুতিনকে কাছে টানার চেষ্টা করেছিলেন ট্রাম্প।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সোমবার জানান, তিনি (রাশিয়া-অধিকৃত) কিছু ভূখণ্ড ইউক্রেনের জন্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবেন। তবে তিনি সতর্ক করে এও বলেন যে, ‘কিছু ভূখণ্ড বিনিময়, পরিবর্তন হতে পারে’।
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ‘অঞ্চল বিনিময়’ করার যে কোনও ধারণার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।
তিনি দৃঢ়ভাবে বলেছেন, ‘ইউক্রেনের ক্রিমিয়াসহ মস্কো যে অঞ্চলগুলো দখল করেছে তার উপর রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণ মেনে নেবে না’।
বিশ্বের প্রথম দেশ হিসাবে তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দিল রাশিয়
এহেন পরিস্থিতিতে ফুঁসে উঠেছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। জেলেনস্কির দাবি ছিল, ইউক্রেনকে বাদ দিয়ে আলোচনার টেবিলে বসা অর্থহীন। আমরা সবাই শান্তি চাই। কিন্তু ইউক্রেনকে ছাড়া এই যুদ্ধ বন্ধ সম্ভব নয়। সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই বুধবার ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেন ট্রাম্প, জেলেনস্কি-সহ একাধিক ইউরোপীয় দেশের প্রধানরা। বৈঠক শেষে সকলেই একমত, পর্যাপ্ত নিরাপত্তার আশ্বাস দিতে হবে ইউক্রেনকে। সেই সঙ্গে সংঘর্ষবিরতি চাই ইউক্রেনে। এই দুই শর্তেই একমত হয়েছেন ইউরোপীয় রাষ্ট্রনেতারা।
ট্রাম্প-পুতিনের আসন্ন বৈঠককে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে স্পর্শকাতর বৈঠক হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
এই বৈঠকের ওপর নজর সারাবিশ্বের। সবাই জানতে উন্মুখ এই বৈঠক থেকে আসলে কী চাচ্ছেন ট্রাম্প ও পুতিন আর বৈঠকের ফলাফল-ই বা কী হবে।
যদিও রাশিয়া এবং ইউক্রেন উভয়ই দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছে যে তারা যুদ্ধের অবসান চায়। কিন্তু এই চুক্তির জন্য উভয় দেশেই এমন কিছু চায় যার তীব্র বিরোধিতা দুদেশই করে।