তেলে, জলে চুল ভাল হয়। তবে সব তেল সকলের জন্য নয়। তেল মাখার পর হুড়মুড় করে চুল উঠতে শুরু করলে তেলের ঘাড়ে সব দোষ চাপিয়ে দিয়ে লাভ নেই। মাথার ত্বকের ধরন বা সমস্যা বুঝে সঠিক তেল নির্বাচন করতে না পারলে চুল উঠবেই।
নারকেল তেলঃ নারকেলের শাঁস থেকে বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি হয় নারকেল তেল। চুলের যত্নে এই তেলের ব্যবহার বহু প্রাচীন। নারকেল তেলে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। এতে রয়েছে লরিক অ্যাসিড, যা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান। মাথার ত্বকের ছোটখাটো সংক্রমণ প্রতিহত করতে তা কার্যকর। এ ছাড়াও তেলটিকে চুল সহজে শোষণ করে নিতে পারে। শুষ্ক চুল হলে এই তেলই ভাল।
খাবারের পাশাপাশি চুল ও ত্বকের যত্নে দই অ্যাড করুন
মেথির তেলঃ মাথার ত্বকে ছত্রাকঘটিত সংক্রমণ বা খুশকি হলে ঘরোয়া টোটকা হিসাবে মেথির তেল ব্যবহার করেন অনেকে। এই টোটকা কিন্তু বেশ কাজের। মাথার ত্বকের শুষ্ক ভাব দূর করতে এই তেল মাখা যেতে পারে। অলিভ অয়েলঃ জলপাই থেকে এই তেল তৈরি হয়। নারকেল তেলের মতো রান্নাতেও অলিভ অয়েল ব্যবহৃত হয়। ত্বক থেকে চুলের যত্নে অলিভ অয়েল বিশেষ কার্যকর। ২০১৫ সালে 'পাবলিক লাইব্রেরি অফ সায়েন্স' (পিএলওএস) নামে একটি জার্নালে প্রকাশিত এই সংক্রান্ত গবেষণা বলছে, চুলের বৃদ্ধিতে অলিভ অয়েলের ভূমিকা রয়েছে। যদিও এ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য মেলেনি বা একাধিক গবেষণা হয়নি। তবু বহু দিন ধরে তেলটির ব্যবহার হয়ে আসছে। চুল পড়ার সমস্যা বাড়ছে, খুশকির সমস্যা রয়েছে যাঁদের, তাঁদের জন্য এই তেল ভাল। টি ট্রি অয়েলঃ মাথার ত্বক অতিরিক্ত তেলতেলে। তা সত্ত্বেও খুশকি হয়। তবে এই খুশকি কিন্তু মাথা থেকে ঝরে পড়ে না। মাথা চুলকালে অনেক সময়ে নখের কোণে উঠে আসে। এই সমস্যায় কিন্তু মেথির তেল কাজ করবে না। বরং টি ট্রি অয়েল মাখলে মাথার ত্বকের সেবাম ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।