শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশের পর নেপাল! সোশাল মিডিয়া নিষিদ্ধ করায়, ব্যাপক প্রতিবাদ আন্দোলনে নেমেছে তরুণ প্রজন্ম, মৃত ১৬, আহত শতাধিক !
জেন জির দখলে নেপালের রাজপথ। গত সপ্তাহে কেপি শর্মা ওলির সরকার সেই দেশে ২৬টি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তার মধ্যে রয়েছে ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রামের মতো জনপ্রিয় মাধ্যম। তারপর থেকেই সেই দেশে অসন্তোষ বাড়তে থাকে। সরকারের তরফে জানানো হয়, সেই সব সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থা রেজিস্ট্রেশন করায়নি। তাই সরকারকে বাধ্য হয়ে নিষেধাজ্ঞার পথে হাঁটতে হয়েছে। সেনার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক কলকাতায়
রাস্তায় নেমে কেপি শর্মা ওলি সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দেখাচ্ছে তাঁরা। একদল উত্তেজিত জনতা সংসদ ভবনের ভিতরে ঢুকে পড়েছে। বিক্ষোভকারীদের হটাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঠমান্ডুতে কারফিউ জারি করেছে প্রশাসন। এরপরেও বিক্ষোভ অব্যাহত থাকায় নেমেছে সেনা। নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১৬ প্রতিবাদীর। জখম শতাধিক। সবাইকে নাগরিকত্ব দেবে সরকার
শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশের মতোই সেখানেও সংসদ ভবনে ঢুকে পড়ল তরুণ তুর্কী আন্দোলনকারীরা। দেশের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক ভবন ঢুকে ভাঙচুর চালায় ক্ষুব্ধ জনতা। ভবনে আগুন এবং ধোঁয়াও দেখা গিয়েছে। এছাড়াও বহু প্রতিবাদীকে কাচের দরজা-জানলা লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছুড়তে দেখা গিয়েছে। সংসদ ভবনের কারিডর থেকে ছাদ, সবই এখন বিদ্রোহীদের দখলে। দেখা নেই নিরাপত্তারক্ষীদের।
গত ৪ সেপ্টেম্বর নেপালে নিষিদ্ধ হয় ফেসবুক, ইউটিউব, এক্স-সহ প্রায় সব ধরনের সোশাল মিডিয়া। সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা নেপাল প্রশাসনের সঙ্গে সরকারি ভাবে নথিবদ্ধ হয়নি। সাতদিনের ডেডলাইন দিলেও তা মেনে চলেনি ২৬টি সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের একটিও। তাই এই কড়া সিদ্ধান্ত নেয় কাঠমান্ডু সরকার। এমন সিদ্ধান্তেই বেজয় ক্ষেপেছে নেপালের ‘জেন জি’। সোমবার হাজার হাজার প্রতিবাদী কাঠমান্ডুর রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখাচ্ছে। সংসদ ভবন-সহ বহু প্রশাসনিক এলাকায়, যেখানে সাধারণ মানুষের প্রবেশ, সেখানেও ঢুকে পড়েন প্রতিবাদী তরুণ তুর্কিরা। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ফেলে তাঁরা। এরপরেই পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। শেষ পর্যন্ত আন্দোলন রুখতে রাজধানী শহরে কারফিউ জারি করে প্রশাসন, নামানো হয় সেনা। জলকামান ব্যবহার করা হচ্ছে বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গুলিতে ১৬ বিক্ষোভকারীরর মৃত্যু হয়েছে। আহত শতাধিক।
নেপালের কেপি শর্মা ওলি সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি-সহ একাধিক অভিযোগ ছিলই। সম্প্রতি সেদেশে ফেসবুক, ইউটিউব, এক্স-সহ প্রায় সব ধরনের সোশাল মিডিয়া নিষিদ্ধ হওয়ায় আগুনে ঘি পড়েছে।