সোমবার দুপুরে মেয়ো রোডে তৃণমূলের ভাষা আন্দোলনের মঞ্চ খুলে দিয়েছে সেনা। ঘটনার পরই ওই স্থানে ছুটে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। শুধু তাই নয়, সেনাকে ব্যবহার করে বিজেপি এই কাজ করিয়েছে বলেও তোপ দাগেন তৃণমূল সুপ্রিমো। আর মঙ্গলবার সেই প্রসঙ্গই ওঠে বিধানসভায়। ভারত-রাশিয়া-চিন তিন অক্ষশক্তি
বিধানসভায় মঙ্গলবার পেশ হল বাংলা ও বাঙালি ‘হেনস্তা’ বিরোধী প্রস্তাব। পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এই প্রস্তাব পেশ করতে গিয়ে তুলে ধরেন দিল্লিতে পরিযায়ী শ্রমিক পরিবারের শিশুর উপর অত্যাচারের প্রসঙ্গ। তাঁর কথায় বিজেপি বিধায়করা ‘আহা রে’ বলে কটাক্ষ শুরু করেন। এরপর ওঠে মেয়ো রোডের তৃণমূলের মঞ্চ ভাঙা প্রসঙ্গ।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “গতকাল সেনাবাহিনী যেভাবে বাংলা ভাষার মঞ্চ ভেঙে দিয়েছে, সেটা ১৯৭১-এর ২৫ মার্চ পাকিস্তান আর্মি যেভাবে খুন করেছিল, তার মতোই।” বিজেপিকে বাংলা বিরোধী বলে সরব হন আর এক মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এরপরই উত্তাব বাড়ে। সরব হন বিজেপি বিধায়করা। ‘ইন্ডিয়ান আর্মি জিন্দাবাদ’ বলে স্লোগান দিতে শুরু করেন শুভেন্দু। বিজেপির ওয়াক আউট করে বেরিয়ে যায়। এরপর আজ, মঙ্গলবারের জন্য শুভেন্দুকে সাসপেন্ড করা হয়। ‘জেলে গিয়েও পদ ছাড়েননি ২ মন্ত্রী’, মোদীর নিশানায় তৃণমূল
বিজেপি বিধায়করা চিৎকার চেঁচামেচি, হট্টগোল জুড়ে দেন। পরিস্থিতি সামলাতে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় উঠে দাঁড়ান। বারবার সতর্ক করেন। তাতেও পরিস্থিতি শান্ত না হওয়ায় শুভেন্দুকে সাসপেন্ড করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে বের করে দেওয়ার জন্য মার্শাল ডাকা হয়। এরপরই ওয়াকআউট করে বেরিয়ে যান বিজেপি বিধায়করা। বিধানসভার গেটে দাঁড়িয়ে একরাশ ক্ষোভ প্রকাশ করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “অরূপ বিশ্বাসের কথায় অফিসিয়াল প্রস্তাব না এনে বিরোধী দলনেতাকে সাসপেন্ড করেছেন। এটা অন্যায়।” শুভেন্দুর দাবি, ব্রাত্য বসু ভারতীয় সেনাকে অপমান করেছেন। দুই কোরিয়ার মধ্যে শান্তি ফিরবে?
সোমবার ওই মঞ্চ ভাঙার ক্ষেত্রে সেনার যুক্তি ছিল, অনুমোদনের সময়কাল পেরিয়ে গিয়েছে, তারপরও বাঁধা ছিল মঞ্চ। এরপর অনুমতি পেতে গেলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলতে হবে বলেও জানিয়েছিল সেনা। তবে মমতার বক্তব্য, আসলে এই কাজ সেনার নয়, বিজেপি সেনাকে কাজে লাগিয়ে মঞ্চ খুলিয়েছে।