Flash News
  1. ভারতের উপর থেকে ট্রাম্প-ট্যারিফ প্রত্যাহারের পথে আমেরিকা
Sunday, September 21, 2025

দুই কোরিয়ার মধ্যে শান্তি ফেরাতে সিঙ্গাপুরে এক ঐতিহাসিক বৈঠক করবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট

banner

journalist Name : Priyashree

#Pravati Sangbad Digital:

দুই কোরিয়ার মধ্যে শান্তি ফেরাতে সিঙ্গাপুরে এক ঐতিহাসিক বৈঠকে হাত মিলিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট লি জে মিউং গত সোমবার প্রথমবারের মতো হোয়াইট হাউস সফর করেন। ওভাল অফিসে তাঁকে স্বাগত জানিয়ে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘ভবিষ্যতে উপযুক্ত সময়ে কিম জং–উনের সঙ্গে বৈঠকের অপেক্ষায় আছি।’ ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমি এ বছরই তাঁর সঙ্গে বৈঠক করতে চাই।’                  ফের পাকিস্তানের হামলার ছক? পুঞ্চের LoC

এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জি মিউং। তাঁর আশা, দুই কোরিয়ার মধ্যে শান্তি ফেরাতে পারেন একমাত্র ট্রাম্পই।

গত জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি বাণিজ্যচুক্তি হয়। এর মধ্য দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শুল্ক আরোপ থেকে ছাড় পায়। তবে এখনো দুই দেশ পারমাণবিক শক্তি, সামরিক ব্যয় ও যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষিণ কোরিয়ার ৩৫ হাজার কোটি ডলারের বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতিসহ এ–সংক্রান্ত চুক্তির বিস্তারিত নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।        সকালের ৭টি ডিটক্স ওয়াটার রেসিপি

২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ট্রাম্প প্রথম মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ওই সময় তাঁর উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে সরাসরি কূটনীতি শুরু হয়েছিল। তবে তখন উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কার্যক্রম বন্ধ করার মতো কোনো চুক্তি হয়নি। গত জানুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেন ট্রাম্প। এর পর থেকে সরাসরি কূটনীতি আবারও শুরু করার জন্য একাধিকবার কিমের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তবে কিম তাতে সাড়া দেননি। 

লি আশা প্রকাশ করেন, ট্রাম্প কোরিয়া উপদ্বীপে শান্তি ফিরিয়ে আনবেন। কোরীয় ভাষায় ট্রাম্পকে লি বলেন, ‘আমি আশা করি, আপনি বিশ্বের একমাত্র বিভাজিত রাষ্ট্র কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি ফেরাবেন, যেন এর মধ্য দিয়ে আপনি কিম জং–উনের সঙ্গে দেখা করতে পারেন। উত্তর কোরিয়ায় আপনি ট্রাম্প ওয়ার্ল্ড (আবাসনব্যবস্থা) তৈরি করবেন, যেন আমি সেখানে গলফ খেলতে পারি। আর এসবের মধ্য দিয়ে আপনি সত্যিই বিশ্বের ইতিহাসে শান্তির প্রবর্তক হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারবেন।’     ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা ও সতর্কতা কি কি

এ ছাড়া লি ট্রাম্পকে অক্টোবরে অনুষ্ঠেয় এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থার (এপেক) শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। ওই সফরের সময় ট্রাম্প চাইলে কিম জং–উনের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করতে পারেন বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

এদিন হোয়াইট হাউসে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানান ট্রাম্প। তারপর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেন, ”আমি কিমের সঙ্গে এবছরই সাক্ষাৎ করব। সাক্ষাতের জন্য মুখিয়ে রয়েছি। ওঁর সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুবই ভালো।” এখানেই শেষ নয়। ট্রাম্প এমনও দাবি করেছেন যে, কিমকে তাঁর মতো করে কেউই চেনে না। এমনকী তাঁর বোন কিম ইয়ো জংও।

শীর্ষ বৈঠকের পর ওয়াশিংটনের এক অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট লি বলেন, উত্তর কোরিয়াকে ঠেকিয়ে রাখার জন্য বড় ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলেও তারা পারমাণবিক অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ‘জেলে গিয়েও পদ ছাড়েননি ২ মন্ত্রী’,

লির দাবি, বর্তমানে বছরে ১০ থেকে ২০টি পারমাণবিক যুদ্ধাস্ত্র তৈরি করার মতো সক্ষমতা উত্তর কোরিয়ার আছে।

২০২১ সাল পর্যন্ত হওয়া তিনটি বৈঠকের পরও দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনও স্থায়ী পরিবর্তন দেখা যায়নি। তবু কিমের সঙ্গে ট্রাম্পের বন্ধুত্বের সম্পর্ক মজবুত হয়েছিল। সেই বন্ধুত্ব কি কোনও নতুন মোড় নেবে? শান্তি ফিরবে দুই যুযুধান দেশে?

Related News