জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ভয়াবহ জঙ্গি হামলা নিয়ে সরব হলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে তিনি সরাসরি এই জঙ্গি হামলার প্রসঙ্গ টেনে এনে শহিদদের পরিবারের প্রতি গভীর সহানুভূতি জানিয়ে আশ্বাস দিয়েছেন, "তাঁরা অবশ্যই ন্যায়বিচার পাবেন।"
প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিলের ওই হামলায় একাধিক নিরাপত্তারক্ষীর মৃত্যু ও সাধারণ মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় গোটা দেশ শোকস্তব্ধ। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “এই হামলা শুধু কাপুরুষোচিতই নয়, এটা স্পষ্ট করে দেয় যে কাশ্মীরের শান্তি ও উন্নয়ন কিছু চক্রের সহ্য হচ্ছে না। যখন উপত্যকায় স্বাভাবিকতা ফিরছিল, স্কুল-কলেজে আবার প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসছিল, গণতন্ত্র শক্তিশালী হচ্ছিল, পর্যটন খাত পুনরুজ্জীবিত হচ্ছিল— তখনই আবার অন্ধকার ছায়া ফেলল সন্ত্রাস।”প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “পহেলগাঁওয়ের এই জঙ্গি হামলা দেখিয়ে দিয়েছে, যারা সন্ত্রাসবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা করে, তারা ভারতীয়দের শান্তিপূর্ণ জীবনে ভয়ের ছায়া ফেলতে চায়। কিন্তু ভারতের মানুষ ভয় পায় না। দেশের প্রতিটি নাগরিক আজ ক্ষোভে ফুঁসছে, আর এই হামলার উপযুক্ত জবাব দেশের তরফ থেকে অবশ্যই দেওয়া হবে।”তিনি আরও বলেন, “এই হামলা আমার ব্যক্তিগতভাবে গভীর যন্ত্রণা দিয়েছে। নিহতদের পরিবারদের আমি আশ্বস্ত করতে চাই, তাদের আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না।”
ভারতের উরি বাঁধ থেকে জল ছাড়ায় পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ভয়াবহ বন্যা
উল্লেখ্য, বিগত সময়ে যখনই বড়সড় জঙ্গি হামলা হয়েছে, তখন ভারতের তরফ থেকে শক্ত জবাব দেওয়া হয়েছে— হোক তা ২০১৬-র সার্জিকাল স্ট্রাইক কিংবা ২০১৯-এর বালাকোট এয়ারস্ট্রাইক। এই আবহে এবারও জনগণের একাংশের দাবি, পাকিস্তানকে আবারও "উচিত শিক্ষা" দেওয়া হোক।পহেলগাঁওয়ে নিহতদের পরিবারও সরকার ও সেনাবাহিনীর কাছে প্রতিশোধের আবেদন জানিয়েছেন। শহিদদের এক আত্মীয় বলেন, “আমাদের সন্তান দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছে। এবার দেশের উচিত, এর উপযুক্ত জবাব দেওয়া।” শেষে প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের সংকল্প আরও দৃঢ় করতে সবাই যেন ঐক্যবদ্ধ থাকেন। “এই লড়াই শুধু সেনাবাহিনীর নয়, গোটা দেশের— আমরা একসাথে সন্ত্রাসকে পরাজিত করব,” বলেন প্রধানমন্ত্রী।